মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ




পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। দেশজুড়ে জেলা উপজেলায় নির্মাণ কাজ বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ সাইটগুলোতে পানি জমে মশার প্রকোপ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

 

 

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মশার ওষুধ দিলেও কাজে আসছে না। শীতের তীব্রতা কমার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলায় বেড়েছে মশার উপদ্রব। ছেলেমেয়েরা পড়তে বসলে মশার কামড়ে হাত-পা, মুখে রক্ত বিন্দু জমে থাকে। রান্নাঘরে কাজ করতে গেলে কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ করে মশা।

 

 

মশা মারতে কয়েল, স্প্রে, বৈদ্যুতিক ব্যাট কোনো কিছু ব্যবহার করে রক্ষা পাচ্ছে না দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। বরিশাল বিভাগের ড্রেনগুলো বর্তমানে অপরিষ্কার অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়রা বলেছেন, মশার লার্ভাগুলো যে সময় ধ্বংস করা দরকার ছিল সেসময় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন।

 

মশার উপদ্রুপ বেড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলায়। কয়েক মাস আগে পৌরসভা মশক নিধনে ওষুধ দিলেও তাতে খুব একটা ফল পাচ্ছেনা জেলার বাসিন্দারা। রাতে নয়, দিনের বেলাতেই মশারি লাগে পটুয়াখালীতে।

 

 

পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, মশা তাদের ভোগাচ্ছে। পড়ার টেবিলে বসেও ঠিকমত পড়তে পারছেন না তারা। গরম শুরু হতে না হতেই মশার প্রকোপ শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি হোস্টেলে।

 

 

পটুয়াখালীর সবুজবাগের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন বিকেলে অফিস শেষে বাসায় এসে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এই বাসার পাশে পানি জমে থাকায় মশা এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে সন্ধ্যার পর বারান্দায় দাঁড়ানোই মুশকিল। তার ওপর গত বছর চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাতে এ বছর বেশ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বাড়িওয়ালাকে অনেকবার বলার পরও বাসার পাশের জলাবদ্ধতা দূর করেননি।

 

 

সবুজবাগ এলাকার ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, দিনের বেলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানে কয়েল জ্বালিয়েও মশার কামড় থেকে পরিত্রাণ মিলছে না। দিনের বেলায় তার নিজ ঘরে মশারি টানিয়ে রাখতে হয়। জেলার পুরান বাজার, সদর রোড, আরামবাগ এলাকার বাসিন্দারা একই কথা বলেছেন। দিন কিংবা রাত কখনই মশার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। অ্যারোসল, ইলেকট্রিক ব্যাট, কয়েলে কাজ হচ্ছে না। দুপুরের পর থেকে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। তাতেও ঠিকমতো মশা যায় না। পটুয়াখালী পৌরসভা থেকেও মশা নিধনে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

 

 

পটুয়াখালী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, এখন মৌসুম পরিবর্তন হচ্ছে বলে একটু মশা বাড়ছে। যদি নিজেরা সচেতন হন এবং বাড়ির আঙিনা পরিচ্ছন্ন ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকেন তাহলে মশার উপদ্রব অনেকটা কমে আসবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD