মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ মাদ্রাসাটির বয়স প্রায় পাঁচ বছর হবে। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে এর কার্যক্রম চলত একটি ভাড়া করা বাসায়। এরপর মাদ্রাসার নানা অভাব-অনটনের সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ পেলে দৃষ্টি পড়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। তাদের সু-দৃষ্টিতে বছর খানেক সময়ের মধ্যে মাদ্রাসাটি পেয়েছে নিজস্ব ভবন।মাদ্রাসাটির নাম রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এটি বরিশাল নগরীর পলাশপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সড়কের গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। মাদ্রাসাটি নিয়ে বিস্তারিত জানালেন পরিচালক ক্বারি মো. নুরুল ইসলাম ফিরোজী।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি ও তার পুত্র বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাদ্রাসাটি ইতোমধ্যেই পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে এসে শতাধিক এতিম ছাত্রের অবস্থা দেখে জেলা পরিষদের মাধ্যমে মাদ্রসাটিতে ১৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। সেই অনুদানে জমি ক্রয়ের পর চার তলা ভিত্তির ওপর এক তলা ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে চলছে প্লাস্টারের কাজ। জেলা পরিষদের অনুদানকৃত টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে চরম অর্থ সঙ্কটে ভুগছে মাদ্রসাটি। পরিচালক ফিরোজী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কষ্টের পরে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে মন্ত্রী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ স্যারের কারণে। তবে যে টাকা পেয়েছি তা মাদ্রাসার কাজের পেছনেই শেষ হয়ে গেছে। এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রদের বিদ্যুৎ ও পানি সংকটের পাশাপাশি খাবার সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে না খেয়ে জীবনযাপন করছে শতাধিক এতিম শিশু।
তিনি আরও বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে মাদ্রাসায় নিয়মিত চাল-ডাল না থাকায় বুধবার (৩ জুলাই) ভাতের বদলে দুপুরে মুড়ি খেয়ে ছিল এতিম শিশুরা। অন্যদিকে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজও বন্ধ। কোনো মহান ব্যক্তি মাদ্রাসার এতিম শিশুদের খাবার জন্য চাল দান করলে এ সমস্যা দেখা দিত না।সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে এতিম শিশুদের খাবার বাবদ সরকার যে বরাদ্দ দেয় তা কোন খাতে খরচ হয় এমন প্রশ্নের জবাবে রহমানিয়া কিরাতুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক ক্বারি মো. নুরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, এতিমখানাটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে এখনও নিবন্ধন করানো হয়নি এজন্য সরকারি বরাদ্দ এই এতিমখানার নামে আসে না।
Leave a Reply