শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যা পরিস্থিতির জেরে ফারাক্কা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়েছে দেশটি। সম্প্রতি এসব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। তবে বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, গেট আগে থেকেই খোলা ছিল।
বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলছেন, ফারাক্কার ১০৯টি গেট আগে থেকেই খোলা ছিল।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মতো অবস্থা হয়নি। নতুন করে গেট খুলে দেওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে বৈজ্ঞানিক নিয়ম অনুসারে এখন এসব গেট খোলাই থাকার কথা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপবিভাগীয় এই প্রকৌশলী বলেন, ‘ফারাক্কার ভারতের অংশে বন্যা পরিস্থিতি চলছে। তবে আমাদের দেশে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’
ফারাক্কা পানি আটকে রাখে না উল্লেখ করে পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, ‘এটি আসলে পানি ডাইভারশন করে। বর্ষাকালে ফারাক্কা সাধারণত খোলাই থাকে। আমাদের কাছে পুরো তথ্য নেই। তবে এই মুহূর্তে গেট খুলে দিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করার মতো অবস্থা নেই।’
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। এর জেরে ফারাক্কা ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়েছে দেশটি। সম্প্রতি এসব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ। এতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-এর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ফারাক্কা বাঁধের এসব গেট খুলে দেওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায়। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, প্রবল বৃষ্টি আর বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে পানি ছাড়ার কারণে চাপ বাড়ছে ফারাক্কা ব্যারাজে। পানি ছাড়তে হচ্ছে এই ব্যারাজেও। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। যদিও বাকি সময়ে উজানের পানি যেমন থাকে সেই অনুযায়ী ছাড়া হয় ভাটিতে। গঙ্গার পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
Leave a Reply