বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল ॥ স্বৈরশাসকের পৃষ্ঠপোষক শওকত হোসেন এর নামে হিরণ স্কয়ার বা পাবলিক স্কয়ার নাম ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতার দাপটে জমি জবর দখলের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। ১৮ মে বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল আমিন মামলা আমলে নিয়ে বিএমপি গোয়েন্দা শাখার একজন সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কর্মকর্তা দ্বারা নালিশী দরখাস্তের প্রাথমিক সত্যতা অনুসন্ধানপূর্বক আগামী ২১/০৯/২০২৫ইং তারিখে প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলাটি দায়ের করেছেন ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলার তিমিরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান।
দায়েরকৃত মামলার আসামিরা হলেন- বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এর প্রশাসক মো. রায়হান কাওছার (৫০), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী (৫০), সচিব রুম্পা সিকদার (৪৮) সহ ৫ জন।
মামলার বর্ণনায় উল্লেখ রয়েছে- আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পরের ভোগদখলীয় জমি নিজেদের দখলে রেখে ভোগ দখল করাই তাদের নেশা ও পেশা। তফসিলভুক্ত সম্পত্তি বিগত ১৫/০২/২০১১ তারিখের ১৮১৮/১১ নং ব্যাপক আমমোক্তার নামার মাধ্যমে মালিক দখলকার ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতেছিলাম।
আসামিগণ পতিত স্বৈরশাসকের পৃষ্ঠপোষক শওকত হোসেন এর নাম ব্যবহার করে হিরণ স্কয়ার বা পাবলিক স্কয়ার নাম ব্যবহার করে অন্যায় ভাবে ক্ষমতার দাপটে বাদির তফসিলি জমি জবর দখল করিয়া আসিতেছিল। জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা বাদির তফসিলি জমি তাকে দখল বুঝিয়ে দেয়। পরে বাদি তার ভোগ দখলের জমিতে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে উন্নয়নমূলক কাজ করতে শুরু করে।
এ সময় দায়েরকৃত মামলার আসামীরা সহ বিসিসির অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারী এসে গত ১৪/১২/২০২৪ তারিখ রাত্র অনুমান সাড়ে আট টার সময় জমির মূল ফটকের লোহার গেইট ভেঙ্গে সেখানে টানানো সাইনবোর্ড ভেঙ্গে বিবির পুকুরে ফেলে দেয়।
একইসাথে আসামীরা বিভিন্ন স্থানের পাকা পিলার ভেঙ্গে উপড়ে ফেলে। আসামীরা নির্মাণ কাজের জন্য আনা বাদির বিভিন্ন নির্মাণাধীন সামগ্রী তাদের ব্যবহৃত গাড়িতে অন্যত্র নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাদির ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধনের পাশাপাশি আসামীরা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
Leave a Reply