রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউএস নিউজের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের তালিকায় ৪৭তম। এটি একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে ক্রমাগত শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। ইউএস নিউজের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করেছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি, যা বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে।
তালিকায় ভারতের ১২তম স্থান অর্জন করাও উল্লেখযোগ্য, যা তার আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধি সাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া, ভুটান এবং মালদ্বীপের নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে, যদিও এদের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবও বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তালিকায় ১৪তম স্থানে অবস্থান করছে, যা তার সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন।
তালিকার ১০ম স্থানে ইসরাইল রয়েছে, যদিও গাজার ওপর বর্বর হামলার জন্য এটি আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, তুরস্ক, কাতার এবং কুয়েতও যথাক্রমে ৯ম, ১১তম, ১৬তম, ১৭তম, ১৯তম এবং ২৫তম স্থানে রয়েছে, যা তাদের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রতিফলন। মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশগুলি তাদের সামরিক বাজেট, পররাষ্ট্রনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এশিয়ার মধ্যে, মালয়েশিয়া ৪৩তম এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলমানের দেশ ইন্দোনেশিয়া ৩৫তম অবস্থানে রয়েছে। এই দেশগুলোর অবস্থান তাদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের একটি স্বীকৃতি। ইউএস নিউজের এই তালিকা দেশের সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক অবস্থান, বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতা এবং পররাষ্ট্রনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। তালিকায় দেশগুলোর সামরিক বাজেট, নেতৃত্বের শক্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কও গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের ৪৭তম স্থানে আসা নিঃসন্দেহে একটি গর্বের বিষয় এবং এটি দেশের আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও সামরিক শক্তির একটি প্রতিফলন। এই অর্জন বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে দেশটির গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে।
Leave a Reply