মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি॥ বানারীপাড়ায় জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে ঈদের বাজারে। বন্দর বাজার সহ উপজেলার চাখার ও বিশারকান্দি ইউনিয়নের চৌমোহনা বাজারেও জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বানারীপাড়ায় নি¤œ আয়ের মানুষের ফুটপাতের দোকানই ভরসা। থানার সামনে ফুটপাতের দোকানে জামাকাপড় কেনা কাটায় ধুম পড়েছে। সকাল সন্ধ্যা ক্রেতার ভীড় লেগেই রয়েছে। এছাড়া বানারীপাড়া উপজেলা সদরের একমাত্র বন্দর বাজার এখন জমজমাট ঈদ বাজারে রূপ নিয়েছে। এখানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
শাড়ী, তৈরী পোষাক, জুতা ও কসমেটিক্স দোকান গুলোতে সার্বক্ষনিক ক্রেতায় ঠাঁসা। সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী-পুরুষ,যুবক ও শিশুরা বানারীপাড়া সদরের প্রধান বন্দর বাজারে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ভীড় জমান। প্রচন্ড গরমে এ দোকান সে দোকান ঘুরে কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
বিশেষ করে কাপড়ের/পোশাকের দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে। বন্দরের প্রতিটি দোকানে দোকানীরা নানা ধরনে ডিজাইন ও রংয়ের পোষাকের পসরা সাজিয়েছেন। নানা ডিজাইনের নতুন নতুন ঈদ পোষাক সাজিয়ে ক্রেতা আকর্ষনের প্রতিযোগিতা শুরু করেছেন তারা ।
একই সাথে থানার সামনে সড়কের ওপর ফুটপাতে পসরা সজিয়েছেন স্বল্প পুজির ব্যবসায়ীরা। ওইসব দোকানে তৈরি পোষাক কেনার জন্য সার্বক্ষনিক ক্রেতায় ঠাঁসা।
সব চেয়ে বেশি কালেকশনের দোকান বন্দর বাজারের বৈশাখী প্লাস গার্মেন্টস,তালুদার ক্লোথ স্টোর, ভৌমিক বস্ত্রালয়,মাষ্টার বস্ত্রালয় ও প্লাস পয়েন্ট। ওইসব দোকানে ধনী ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর ক্রেতাই বেশি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে বেচা কেনা। বৈশাখী প্লাসের মালিক সামসুল আলম সিমুজানান গতবছরের তুলনায় এ বছর আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটায় ধুম পড়েছে। মেয়েদের গোল ফ্রগ বেশি চলে।
এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের থ্রি পিস,ফ্রক শিশুদের পোষাক,ছেলেদের পাঞ্জাবী ও জিন্স প্যান্ট বেশী বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জুতার দোকান ও কসমেটিক্স’র দোকানগুলোতেও লক্ষনীয় ভীড় রয়েছে। বন্দরের প্রতিটি অলি-গলি লোকে লোকারন্য। থান কাপড়,শাটিং,সুটিং’র দোকান গুলোর লোকজনের দম ফেলার ফুসরত নেই।
বন্দরের প্রতিটি তৈরি পোষাকের দোকানই ক্রেতায় ঠাঁসা। তালুকদার ক্লথ, স্বদেশী বস্ত্রালয়, রাজু ক্লথ ষ্টোর, সাজনী বস্ত্রালয়, পারভেজ ক্লথ ষ্টোরসহ দোকানীরা বলেছেন ৮০ ভাগ মাল ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।
তারা জানান উপজেলায় প্রতিবছর ২০ রমজানের পর বাজার জমে। কিন্তু এবছর ১৫ রমজানের পর থেকেই কেনাকাটা শুরু হয়েছে। ক্রেতারা জানান গতবছরের তুলনায় এবছর দাম স্বাভাবিক।
Leave a Reply