বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে কালাইয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা তাপস দাস,কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জোড়া খুন রাকিব উদ্দিন রুমন তালুকদার ও ইশাদ তালুকদারের হত্যার সাথে জড়িত খুনিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাউফল উপজেলা যুবলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত ওই মানবন্ধন কর্মসূচীতে যুবলীগের কয়েকশত নেতাকর্মী ও নিহতদের পরিবারের লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাউফল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউপির চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি হারুন অর-রশিদ,যুবলীগ নেতা রুমনের বড় ভাই কেশবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু, কেশবপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২ আগষ্ট সন্ধ্যায় আ’লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বেরে জেড় ধরে কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি রুমন তালুকদার ও ইশাদ তালুকদার দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং রুমন তালুকদারের বড় ভাই মফিজ ফিজউদ্দিন মিন্টু তালুকদার বাদি হয়ে ওই ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামি করে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তাতে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু হাইকোট থেকে জামিনে আছেন। অপরদিকে গত ২৪ মে থানার সামনে একটি তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সমর্থিত ও জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের কর্মী ও সমর্থক এ দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় তাতে আ স ম ফিরোজ এমপি সমর্থিত কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা তাপস দাস ছুরির আঘাতে নিহত হন।
এ ঘটনায় তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাদী হয়ে মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রধান আসামি মেয়র জিয়াউল জুয়েল সহ ১৬ জন হাউকোট থেকে জামিনে আছেন। বক্তরা তিন যুবলীগ নেতার হত্যাকারীদের সাথে জড়িত সকল আসামিদেরকে গ্রেফতার করে সঠিক ভাবে তদন্ত করে উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন।
Leave a Reply