রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ভারত সরকার বাংলাদেশকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বিভাগ এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে। ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেয়া হয়েছিল, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা ভারতীয় স্থলবন্দর ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারে পণ্য পাঠাতে পারতেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “২০২০ সালের ২৯ জুনের সার্কুলার বাতিল করা হলো,” তবে ইতিমধ্যে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশি পণ্যসামগ্রী প্রক্রিয়াকরণের অনুমতি দেওয়া হবে। এর মানে, যেসব পণ্য ইতোমধ্যে ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে পৌঁছানোর জন্য পৌঁছেছে, সেগুলোর উপর কোনো প্রভাব পড়বে না, তবে ভবিষ্যতে এই সুবিধা আর দেওয়া হবে না।
ভারতীয় পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে দেওয়া এ সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের মতে, এই সুবিধা ভারতের নিজস্ব শিল্পের জন্য প্রতিযোগিতামূলক অসুবিধা সৃষ্টি করছিল এবং এর ফলে তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছিল। তবে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির জন্য এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি আঞ্চলিক বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, বাংলাদেশের জন্য যে প্রতিবেশী ভূ-বেষ্টিত দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য রপ্তানি সহজ ছিল, সেখানে এখন নতুন বিকল্প খুঁজতে হবে। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, যা বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য আরো চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত এবং বাংলাদেশ মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য পরিস্থিতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য এখন নতুন রুট খোঁজার সময় এসেছে, যা তাদের ব্যবসাকে প্রভাবিত করতে পারে। ভারত সরকার এই পরিবর্তন এনে তাদের নিজস্ব শিল্পকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Leave a Reply