রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকলেও আছে অভ্যন্তরীণ রেষারেষি। নেতাকর্মীরা প্রায়ই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতিতে জড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতাদের সামনে দুই পক্ষের সংঘাত ও ছাত্রদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় বিব্রত বোধ করছেন জেলা ও নগর বিএনপির নেতারা।
জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে বরিশাল বিভাগীয় বিএনপির সমাবেশ হয়। সমাবেশ চলাকালে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ছাত্রদলের দুই পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। সেই ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার পুনরায় নেতাকর্মীদের মাঝে হাতাহাতি হয়। একপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করেন বরিশাল নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও আরেক পক্ষের নিয়ন্ত্রণ সভাপতি রেজাউলের হাতে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, বরিশালে ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই দীর্ঘদিন। এর কারণ মূল দলের নেতাদের বিরোধ। বরিশালে বিএনপির রাজনীতিতে নগর সভাপতি মজিবর রহমানের একচ্ছত্র আধিপত্য দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরোধিতা করেছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান, বরিশাল দক্ষিণ জেলা সভাপতি এবায়দুল হক। জেলা বিএনপির এই দ্বন্দ্বের প্রভাবই পড়েছে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে।
বরিশাল নগর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘাতে আমাদের কারো ইন্ধন নেই। যেসব নেতাকর্মী এ ধরনের ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ও অন্যান্য কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।
এর আগে, ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট বরিশাল জেলা ও নগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মেয়াদ শেষ পর্যায়ে এলেও সেই কমিটি এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। মূলত এ নিয়েই দ্বন্দ্বে জড়ান জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটির সভাপতি মাহফুজুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান। একই অবস্থা নগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের গ্রুপের মধ্যেও।
নগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, ছাত্রদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে সমর্থকদের নিয়ে সংঘাত সৃষ্টি করেছেন।
নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বলেন, সভাপতির সঙ্গে আমার ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে মতবিরোধ আছে, কিন্তু তিনি যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। আমি আধিপত্য বিস্তারের রাজনীতি করি না।
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সিনিয়র নেতাদের কিছু ভুলের প্রভাব ছাত্রদলের তরুণ নেতাকর্মীদের ওপর পড়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে- সে ব্যবস্থাই নেয়া হবে।
Leave a Reply