শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশালে শুরু হয়েছে খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি। রোববার সকাল থেকে নগরীর ৭টি পয়েন্টে ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে খোলাবাজারে এ চাল বিক্রি শুরু করে খাদ্য বিভাগ।
তবে সামাজিক দূরত্ব না মেনে দাঁড়িয়ে চাল কিনতে দেখা গেছে। স্বল্পমূল্যে চাল পেয়ে সাধারণ মানুষ খুশি হলেও ডিলাদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেছেন তারা। তবে জনপ্রতি ৫ কেজি করে চাল বিক্রি করার হচ্ছে এবং কোন অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের।
নগরীর কেডিসি, কাউনিয়া বিসিক, রূপাতলী হাউজিং, আমতলার মোড়, বিআইপি গেট এবং জুমির খান সড়কের ৭টি পয়েন্টে ট্রাকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করে খাদ্য বিভাগ। প্রতিটি পয়েন্টে সাধারণ ক্রেতাদের অনেক ভিড় দেখা গেছে। তবে লাইন ভঙ্গ করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে পরিচিত ক্রেতাদের কাছে ১০ থেকে ১৫ কেজি চাল বিক্রি করার অভিযোগ করেন সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে বরিশাল খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক জামাল হোসেন জানান, ক্রেতাদের দির্ঘ লাইন হওয়ায় অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিরারদের। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও ক্রেতারা শুনছেন না। তবে চাল বিক্রিতে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কথা অস্বীকার করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, ৭টি পয়েন্টের প্রতিটিতে ট্রাকে করে প্রতিদিন ২ টন করে মোট ১৪ টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে বরিশাল নগরীতে। যতদিন প্রয়োজন হবে, ততদিন খাদ্য বিভাগের স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
খাদ্য বিভাগ ছাড়াও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) নগরীর ১১টি পয়েন্টে এবং বিভাগের আরও ১১টি পয়েন্টে প্রতিদিন ন্যায্য মূলে চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও মসুর ডাল বিক্রি করছে।
অপরদিকে, জেলা প্রশাসন পরিচালিত দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতও খাদ্য বিভাগের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি এবং টিসিবি’র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম তদারকি করেন। তারা ক্রেতাদের সামজিক দূরত্ব মেনে সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাড়িয়ে পণ্য কেনার পরামর্শ দেন বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও সাইফুল ইসলাম।
Leave a Reply