সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি:বরিশাল লামচরি ইউনিয়নের শিশু ধর্ষণচেষ্টা ঘটনার ৪ দিন পার হয়ে গেলেও শামিমকে আটক করতে পরেনি কাউনিয়া থানা পুলিশ। অথচ ধর্ষক শামীম মাতুব্বর বহাল তবিয়তে লোক চক্ষুর আড়ালে আছেন। বরিশাল পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার নির্যাতিত শিশুর জবানবন্ধি নিচ্ছে। সমস্ত ঘটনা দেখলে মনে হয় ৯৮ সালের ডিপজল অভিনীত কোনো বাংলা সিনেমা দেখছি।
পুলিশ আসামিকে খুঁজে পাচ্ছে না। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশাসন এতটাই আধুনিক যে মোবাইল, জি পি এস ট্র্যাকিং ও নিকট লোকজনদের মাধ্যমে অনেক আসামিকে গ্রেফতার করে আইনের কাছে সোপর্দ করেছে খুব অল্প সময়ে।
কোনটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়েছে, কোনটা তার চেয়েও কম সময়ে। কিন্তু শিশু ধর্ষণকারী শামীম মাতুব্বরের ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা একটু সন্দেহজনক। লামচরির নির্যাতিতার পরিবার বরিশালে বিচার পাবার দাবিতে মানববন্ধন করতে চাইলে কাউনিয়া পুলিশ তাদের নিষেধ করে। ধর্ষণ ঘটনার ৮০ ঘন্টা পার হলেও পুলিশ শামীম মাতুব্বরকে এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই।
উল্টো নির্যাতিত পরিবারকে শামীমের সন্ধান দিতে বলে পুলিশ। মোট কথা পুলিশ এখানে কাটা গায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছে। বিশ্বস্ত গোপন সূত্রে জানা যায় শামীমের পক্ষে পুলিশ প্রশাসন , মিডিয়া , এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের ম্যানেজ করার জন্য কিছু লোক পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
কাউনিয়া থানা পুলিশের ভূমিকা দেখলে এই খবরের সাথে মিল পাওয়া যায়। ৩০ তারিখ নির্যাতিত শিশুর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রথমে কোনো গুরুত্ব দেয়নি ।
অভিযোগ দিতে থানায় গেলে বিষয়টি এরিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা । এলাকার লোকদের চাপে ০১/০২/১৯ তারিখে মামলা নেয় পুলিশ।যার নং ১, পুলিশ প্রশাসন শামীম মাতুব্বরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে বলে মিডিয়াকে শুধু জানান দিচ্ছে।
দৃশ্যমানগত ভাবে পুলিশের কোনো পদক্ষেপ দেখা বা শোনা যায় না। উল্টোভাবে নির্যাতিত শিশুটিকে একাধিকবার ডেকে এনে জবানবন্ধি নিচ্ছে। যেটা অমানবিক একটি বিষয়।
একদিকে নরপশু শামীম ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার মাধ্যমে মানসিকভাবে শিশুটিকে একবার হত্যা করেছে।
অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন বারবার জবানবন্ধীর নামে শিশুটিকে মানসিকভাবে পূনরায় ধর্ষণ করছে। যা একটি ৭ বছরের শিশুর মানসিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরী হতে পারে। এখানে প্রশ্ন কাউনিয়া পুলিশ শামীম মাতুব্বরকে গ্রেফতারের পিছনে না ছুটে নির্যাতিত শিশুটির পিছনে লেগে আছে কেন।
নাকি এই ঘটনাকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য কোনো রাস্তা তৈরী করছে পুলিশ। শামীম যে এই প্রথম কোনো অপরাধ করলো সেটা নয় , এর পূর্বেও তিনি করেছে অনেক অপরাধ। এতো অপরাধ করেও শামীম মাতুব্বর ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
আর নির্যাতিত শিশু ও তার পরিবার বিচার পাবার আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। দেখা যাক ‘পুলিশ এবার রক্ষক না ভক্ষক’ এর কোন ভুমিকা পালন করে ?
Leave a Reply