বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
হিজলা প্রতিনিধি॥ বাল্য বিয়ের ভয়ংকর অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল বরিশালের হিজলার ১৩ বছরের শিশু লামিয়া আক্তার। উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিশুটি’র বাল্য বিয়ে পন্ড হয়ে যায়। সেই সাথে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে কনের মা ও বরকে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বরিশালের হিজলা উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্নে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধের এই ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমীনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ‘বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে কাঞ্চন বেপারীর বাড়িতে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ছুটে যান তারা। গিয়ে দেখতে পান স্থানীয় শাহ আলম বেপারী’র স্ত্রী দুলুফা বেগম (৩৬) তার ১৩ বছরের শিশু কন্যা লামিয়া আক্তারকে বিয়ের আয়োজন করেছেন।
তাছাড়া যার সাথে বাল্য বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে সেই বর হিজলা উপজেলার চর মেমানিয়া গ্রামের মালেক বেপারীর ছেলে মো. নূর হোসেনও (১৯) অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাই বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি নেয়ার অপরাধে শিশুর মা দুলুফা বেগম ও বর নূর হোসেনকে আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘আটককৃত বর ও কনের মা দু’জনেই বেআইনী কর্মকান্ডের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারা অনুযায়ী শিশু কন্যার মা দুলুফা বেগমকে ১০ হাজার টাকা এবং একই আইনের ৭(২) ধারা অনুযায়ী অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর নূর হোসেনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি কন্যা শিশু লামিয়ার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার কণ্যাকে বিবাহ দিবেন না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেছে তার মা দুলুফা বেগম। তাছাড়া প্রাপ্ত বয়স্ক না হয়ে এবং বাল্য বিবাহ করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে বর নূর হোসেন।
মোবাইল কোর্টে সহযোগিতা করেন হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক খানের নেতৃত্বাধিন পুলিশ ফোর্স ও গ্রাম ফুলিশ আলতাফ হোসেন।
Leave a Reply