শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
প্রিন্স তালুকদার, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বরিশালের সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের সারসী গ্রামে নিজের অপকর্ম ঢাকতে নিরীহ প্রতিপক্ষকে হয়রানির চেষ্টা করছে মজিবুল হক মোল্লার ছেলে বহু অপকর্মের হোতা আলামিন মোল্লা, রুহুল আমিন মোল্লা,
সেকান্দার মোল্লা ও মুজাম্মেল মোল্লা। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী মৃত. আইয়ুব আলী মল্লিকের ছেলে শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের কবুতর প্রায়ই চুরি করে হাট বাজারে ও দুর দুরান্তে বিভিন্নস্থানে বিক্রী করে আলামিন মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা।
গত ১৯ শে আগষ্ট শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ১৮টি কবুতর চুরি করে লাকুটিয়া সড়কের ভাঙ্গারপুল দিয়ে বিক্রী করতে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের নিকট হাতেনাতে ধরা পড়ে আলামিন মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লা। জানা যায়, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার কবুতর চুরি করেছে। শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিন জানান, দফায় দফায় আমার ৫১টি কবুতর চুরি করেছে। তারা মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী।
এজন্য আমি টু শব্দটিও করতে পারি না। আলামিন মোল্লার ছেলে ইমরান মোল্লার চুরির অপকর্ম ঢাকতে নিরীহ প্রতিপক্ষ শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনকে থানায় অভিযোগ দিয়ে ও হত্যা, উৎখাতের হুমকি ধামকি দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের শ্বশুড় আমজাদ আলী হাওলাদারের দানকৃত জমিতে বসবাস করে মজিবুল হক মোল্লার ছেলে বহু অপকর্মের হোতা আলামিন মোল্লা, রুহুল আমিন মোল্লা, সেকান্দার মোল্লা ও মুজাম্মেল মোল্লা চুরি, মাদকব্যবসা, চোরাই মটরসাইকেল ব্যবসাসহ বহুমুখী অপরাধ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী সন্ধ্যা রানী দাসের টাকা ও স্বর্ন সেকান্দার মোল্লা চুরি করায় স্থানীয়রা পাতিল কামানি দিয়ে ছেড়ে দেয়। তখন তার মাথার চুল পড়ে যাওয়ায়, এখন পর্যন্ত আর চুল গজায় নাই।
চোরা সন্ত্রাসী ইমরান মোল্লার বাবা আলামিন মোল্লা জামায়াত শিবির পরিচয়ে এলাকায় বসবাস করলেও সে জঙ্গী সংগঠনের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সন্ত্রাসী মুজাম্মেল মোল্লা ইভটিজিংয়ের দায়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ কতৃক বরিশালের সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের লাকুটিয়া পিআরসি স্কুলের সামনে হাতেনাতে ধরা পড়েন।
চোরা সন্ত্রাসী ইমরান মোল্লার মা নার্গিস বেগম কবুতর চুরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলে কবুতর চুরি করায় স্থানীয় লোকজন আমাদের উপর ক্ষুদ্ধ। বরিশালের সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের সারসী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলাল বলেন, কবুতর চুরির ঘটনা ও থানায় অভিযোগ, সবই শুনেছি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার উপ পরিদর্শক ইয়াছিন সাহেব আমাকে মীমাংসা করে দিতে বলেছে, আমি অতি দ্রুত মীমাংসা করে দেব।
Leave a Reply