শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন
মুলাদী প্রতিনিধি॥ মুলাদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের ১১০নং গাছুয়া পদ্মারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ শাহ আলম ওরফে শাহজামালকে স্থানীয় একটি চক্র বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
সহকারী শিক্ষক শাহ আলম জানান শিক্ষার আলো বঞ্চিত শিশুদের জন্য ১৯৮৯ সালে গাছুয়া ইউনিয়নের পদ্মারহাট এলাকায় ৩৩ শতাংশ জমি দান করে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন।
বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এলাকার একটি স্বার্থান্বেষী মহল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সহকারী শিক্ষক শাহ আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লাগে। ওই মহলটি বেশ কয়েক বার বিদ্যালয়টি বন্ধ করার পায়তারা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলে ওই মহলটি স্কুল বন্ধের পায়তারা চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে তারা বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার পরেও তার প্রতিপক্ষরা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে সংবাদ দিয়ে তাকে অনুপস্থিতি দেখানোর চেষ্টা চালায়।
ওই সময় সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু কর্ণার ভেঙ্গে রাস্তার নির্মাণের অভিযোগও করা হয়। বিদ্যালয়ের টিনের ঘরটির বর্ধিতাংশে এখন পর্যন্ত মাটি ভরাট করা হয়নি। তবে বর্ধিতাংশের একটি কক্ষে বঙ্গবন্ধু কর্ণার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
যেখানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন করাই হয়নি সেখানে তা ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ গভীর ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন শিক্ষকরা। সহকারী শিক্ষক শাহ আলম বলেন বিদ্যালয়টির টিনের ঘর বড় করার সময় নলকূপ ও টয়লেট পিছনে পড়ে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের যৌথ সিদ্ধান্তে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টয়লেটে যাতায়াতের সুবিধার্থে পুরাতন রাস্তার স্থলে পুরাতন ঘর ও বর্ধিতাংশের মাঝখানে ৩ ফুট গলি রাখা হয়।
গলি রাখার বিষয়টিকে পুজি করে তার প্রতিপক্ষের লোকজন মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। আওয়ামীলীগ সরকার যেখানে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় করণের ব্যবস্থা করেছেন সেখানে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ভেঙ্গে রাস্তা নির্মানের প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেন সহকারী শিক্ষক শাহ আলম।
শিক্ষার্থী অভিভাবক আবুল হোসেন জানান স্থানীয় একটি মহল বিদ্যালয়টি নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় দীর্ঘ দিনেও বিদ্যালয়ে কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি। ওই মহলটি এখন শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র করছে।
Leave a Reply