স্টাফ রিপোর্টার:প্রতিদ্বন্দ্বি কাউন্সিলর প্রার্থীকে ফাঁসাতে টাকা দিয়ে ভোট কেনার নাটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘটনার কোন সত্যতা না পাওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট। নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে ২১ নং ওয়ার্ডে ২৩ বছরের পুরনো এবং জনপ্রিয় কাউন্সিলর আলতাফ মাহমুদ সিকদার এর জনপ্রিতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে একই ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী সাঈদ আহমেদ মান্না ও তার দলবল এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জনিয়েছেন ঘটনার শিকার জালাল ফকির।
ঘটনার শিকার জালাল ফকির জানান, রবিবার রাতে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় ২১ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন । এরপর সাড়ে ৯ টার দিকে ধোপা বাড়ীর মোর এলাকায় গেলে জালাল ফকিরকে একটি ক্লাবের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ওই ওয়ার্ডের ঠেলাগারী প্রতীকের প্রার্থী সাঈদ আহমেদ মান্না তাকে গালাগাল দেয়। এরপর বলা হয় তুই কেন ইভিএম প্রশিক্ষনে গিয়েছিলি। এখন আমরা যা যা বলবো তা স্বীকার করবি।
এরপর একটি মোবাইল ফোনে ভিডিও করানো হয় এবং তাকে বলানো হয় কাউন্সিলর প্রার্থী আলতাফ মাহমুদ শিকদার ভোটারদেরকে টাকা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছে এবং সে ৭০/৮০ জন ভুয়া ভোটার তৈরি করেছেন। এরপর জোরপূর্বক জালাল ফকিরকে এ ধরনের কথা বলিয়ে তা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়। এরপর সাংবাদিকদের খবর দিয়ে তা দেখানো হয় এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয় । পরে পুলিশ এসে নির্বাচনের দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে অবহিত করেন ।
এরপর ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন তবে তাৎক্ষণিক কোনো সত্যতা না পাওয়ায় তাকে কোন শাস্তি দেওয়া হয়নি। তবে সে সময় পেশকার উপস্থিত না থাকায় তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। পরের দিন গতকাল সোমবার সকালে তাকে মুক্তি দেওয়া ।
জলিল ফকির জানান ২১ নং ওয়ার্ডের সে ২০ বছরের পুরনো ভোটার এবং কাউন্সিলর প্রার্থী আলতাফ হোসেন শিকদারের একজন সমর্থক। পাশাপাশি সে তার পাশেই একটি বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বাস করেন। এ কারণে তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল সাঈদ আহমেদ মান্নার অনুসারীরা।
গতকাল তাকে ডেকে নিয়ে আলতাফ মাহমুদ সিকদার ভোটারদের টাকা দিচ্ছে এমন নাটক রচনা করে মান্না ও তার অনুসারীরা। এ সময় তার সাথে মাত্র ২০০০ টাকা থাকলেও মান্না তার পকেটে আরো ১৬ হাজার টাকা ঢুকিয়ে দেয়। এ সময় আরমান এবং রুস্তম নামের এক ব্যক্তি মান্নাকে সহযোগিতা করে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানা জানিয়েছে, নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় আটক জালাল ফকিরকে ম্যাজিষ্ট্রেট ছেড়ে দিয়েছে।
Leave a Reply