বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বোরো মৌসুমে কৃষক আগাম আবাদে নামলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তা ও ব্রীজ উন্নয়ন কাজের জন্য প্রধান খালের মুখে দুটি বাঁধ দেয়ায় পানি সংকটে দুই সহ¯্রাধিক কৃষক ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না। জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ও গৈলা খালের মুখে দুটি বাঁধ নির্মান করায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হবার পাশাপাশি চরম ক্ষতির মুখে পরেছেন কৃষকরা।
সূত্রমতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ইতোমধ্যে এক হাজার সাতশ’ হেক্টর জমিতে আগাম বোরো ধান রোপন করেছেন চাষীরা।
উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার তিনশ’ ১৩ মেট্টিক টন চাল। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র মন্ডল জানান, চলতি বছর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট নয় হাজার ৬৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রীড ছয় হাজার ৫৪৭হেক্টর ও উফসী তিন হাজার ১১৬হেক্টর জমি। কৃষি বিভাগ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৪৩ হাজার ৩১৩ মেট্টিক টন চাল।
রাজিহার গ্রামের চাষী কমলেশ হালদারসহ অর্ধশতাধিক চাষিরা জানান, বরিশাল সড়ক বিভাগের আওতায় উপজেলা সদর থেকে ঘোষেরহাট পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন ও থানার সামনে ব্রীজ নির্মান কাজের জন্য উপজেলা সদর এলাকায় রাজিহার ও গৈলা খালের মুখে দুটি বাঁধ নির্মান করা হয়েছে।
ফলে বর্তমানে চাষীরা ইরি ব্লকে পানি সেচ দিতে না পারায় আগাম বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না। প্রধান খালে বাঁধ দেয়ায় ওই খালসহ শাখা খালগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় ইরি ব্লকের মেশিনগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
চাষীরা আরও বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য চাষীদের কথা বিবেচনা করে খালে পানি চলাচলের ব্যবস্থা রাখার দরকার ছিলো কিন্তু ঠিকাদার খামখেয়ালী করে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
বাঁধ অপসারণ বা পানি চলাচলের জন্য চাষীরা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, বাঁধের কারণে পানি সংকটের জন্য চাষীদের চাষাবাদ সমস্যার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ চাষী ও ব্লকের তালিকাও তাকে দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস জানান, বাঁধের কারণে ৩০/৩৫টি ব্লক ক্ষতিগ্রস্থর তালিকার পাশাপশি আরও অনেক ছোট ব্লক ক্ষতি হবে।
বিষয়টি তার দপ্তরের না হওয়ার পরেও চাষীদের কথা চিন্তা করে তিনি বিষয়টি বরিশাল সওজ কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যর সহযোগীতার সমন্বয় করে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
Leave a Reply