শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
ফিরোজ মাহামুদ:সড়ক পরিবহন আইন বাতিলের দাবিতে সারাদেশের মতো বরিশালেও শ্রমিকদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। বরিশাল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বাসের পাশাপাশি মিনি ট্রাক, ট্রাক, মাহিন্দ্রা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এছাড়া নগরীর সড়কগুলোতে শুধুমাত্র ইজিবাইক ও রিক্সা চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে মাহিন্দ্রা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হওয়া যাত্রী সাধারন।
আজ রবিবার (২৮ অক্টোবর) ভোর ছয়টা থেকে ৮ দাবীতে শুরু হয়েছে ধর্মঘট। নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে কোন গণপরিবহন ছেড়ে যায়নি। ফলে সকালে রাস্তায় নেমে যাত্রীরা বাস না পেয়ে পড়েন ভোগান্তিতে। শত শত যাত্রী অপেক্ষা করলেও কোনো গণপরিবহন নেই। বাধ্য হয়ে কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ রিকশা-ভ্যানে করে, আবার কেউ বিকল্প কোনো মাধ্যমে গন্তব্যে ছুটছেন।
এদিকে সকাল থেকেই বরিশালে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া নগরীতে ইজিবাইক ও রিক্সা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও কর্মস্থলগামী যাত্রী সাধারণ। শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সাড়া দিয়ে নগরীতে আলফা মাহিন্দ্রাও বন্ধ রাখা হয়েছে। কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে তারা বাধ্য হয়ে রিক্সা কিংবা ভ্যানেই গন্তব্যে যাচ্ছেন। অবশ্য এ সুযোগে রিক্সা ভাড়া প্রায় দ্বিগুন আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।
আইনের সংশোধন করা ও বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সমস্যা নিরসনে আট দফা দাবি জানায় শ্রমিক ফেডারেশন। এর মধ্যে আছে: ১. সড়ক দুর্ঘটনায় সব ধরনের মামলা জামিনযোগ্য করা; ২. শ্রমিকদের অর্থদন্ড পাঁচ লাখ টাকা করা যাবে না; ৩. সড়ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে; ৪. ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা; ৫. ওয়াস্কেলে (ওজন স্কেল) জরিমানা কমানো ও শাস্তি বাতিল করা; ৬. সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ; ৭. গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকের নিয়োগপত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকা; ৮. সব জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপকহারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা এবং লাইসেন্স ইস্যুও ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করা।
Leave a Reply