বরিশালে অপরাধ না করেই মিথ্যা মামলায় কারাগারে যুবক Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে অপরাধ না করেই মিথ্যা মামলায় কারাগারে যুবক

বরিশালে অপরাধ না করেই মিথ্যা মামলায় কারাগারে যুবক




নিজস্ব প্রতিবেদক॥  অপরাধ না করেই বরিশালে অপহরণ মামলায় রানা নামের এক যুবককে জেল খাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।ওই যুবকের বোনের স্বামী সুমন বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বাংলানিউজকে বলেন, গত ১৯ মার্চ বরিশাল নগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় সদ্য এসএসসি পাশ করা (১৬) এক তরুণীকে অপহরণের একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় আসামি করা হয় আমার শ্যালক উজ্জল হোসেন রানাকে।

অপহরণ মামলার দেড়মাস আগে রানা ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিতে যোগদান করে। মামলার পরে পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এবং আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। যেখানে প্রায় ৪ মাস ধরে সে রয়েছে।

এদিকে রানার স্বজনরা পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ১৬ বছরের ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার আগে মোবাইল ফোনে রানার সঙ্গে কথা বলে। যার সূত্র ধরে রানার বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু রানা গ্রেফতার হলেও তরুণীর সন্ধান না পাওয়ায় সন্দেহের দানা বাঁধতে শুরু করে স্বজনদের মনে।

রানার দুলাভাই সুমন বলেন, এরপর গত ২৪ আগস্ট রাজশাহী থেকে ১৬ বছরের ওই তরুণী ও তার সঙ্গে থাকা আরও এক তরুণীকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরে ওই দুই তরুণী সমকামিতার কারণে পালিয়ে গিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে জানায়। আর সেটি পরের দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।

উজ্জ্বল হোসেন রানার মা আলেয়া বেগম সাংবাদিকদের জানান, একটি মিথ্যা মামলার কারণে আমরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। মামলায় যেখানে অপহরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে এই মেয়েকে উদ্ধারের পর বলছে স্বেচ্ছায় সে পালিয়ে গেছে। তাহলে আমার নিরপরাধ ছেলেকে কেন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে এভাবে ফাঁসানো হলো।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ১৯ মার্চ রাত ৭টা ৪০ মিনিটে তামান্না মার্কেটে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে বাসার সামনে উপস্থিত হলে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা উজ্জল হোসেন রানা, তার মা আলেয়া বেগম এবং দুলাভাই সুমন সহ অজ্ঞাত আরও তিনজন তামান্নাকে একটি মাইক্রোবাসে করে গাড়িটি নথুল্লাবাদের দিকে চলে যায়।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ১৩ মার্চ বিকাল ৪টার পর তামান্না তার মায়ের ফোন থেকে ওই ছেলের সাথে মোট ১৯ মিনিট কথা বলে। যার কল রেকর্ড থানা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই। এর আগেও আমার মেয়ে রানার সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। তখন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ তিনদিন পর আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছিল। এছাড়া পত্র পত্রিকায় যে সমকামিতার বিষয়টি বলা হয়েছে সেটাও মিথ্যা।আর রানার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে যদি আসামির কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD