বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১০ পূর্বাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়ার চাখারে এক সংখ্যালঘু তরুণী গর্ণধষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে বানারীপাড়া থানায় ধর্ষিতা ওই তরুণী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন- জুয়েল (৩২), শাহাদাত হোসেন (৪৫), হেমায়েত (৩৫), আমির হোসেন (৩৫) ও আসমা বেগম (৩৫)। এদের মধ্যে জুয়েল ও শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার পদ্মডুবি গ্রামের স্বপন দাসের মেয়ে (২০) বুধবার বিকাল ৫টার দিকে বরিশাল শহরে কাকার বাসায় বেড়ানো শেষে বানারীপাড়া হয়ে নিজ বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে নথুল্লাবাদ থেকে মাহেন্দ্র-আলফায় যাত্রী হন।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ওই মাহেন্দ্র-আলফা বানারীপাড়ায় আসার পরে চালক শাহাদাত হোসেন ও অপর যাত্রী আমির হোসেন তাকে বলেন সন্ধ্যা হয়ে গেছে নাজিরপুরের পদ্মডুবি গ্রামে যেতে তার অনেক রাত হয়ে যাবে। পথে বিপদ হতে পারে সকালে যাবেন এসব কথা বলে তাকে চাখারে মাহেন্দ্র-আলফা চালক শাহাদাত হোসেনের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে সেখানে শাহাদাত হোসেন, আমির হোসেন ও শাহাদাতের ভাড়াটিয়া ঘরের মালিক বিউটিশিয়ান আসমা বেগমের সহায়তায় ওই তরুণীকে একই এলাকার জুয়েল ও হেমায়েত ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। পরে গভীর রাতে ওই তরুণী কৌশলে বাসা থেকে বের হয়ে চাখার পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন।
খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ রাত দেড়টার দিকে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে মাহেন্দ্র-আলফা চালক শাহাদাত হোসেন ও জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত দুজনসহ ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে বরিশাল জেলহাজতে ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে শেবাচিম হাসপাতালে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ বলেন, বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply