দিনভর নাটকীয়তার পর বরিশাল থেকে ছেড়েছে লঞ্চ Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




দিনভর নাটকীয়তার পর বরিশাল থেকে ছেড়েছে লঞ্চ

দিনভর নাটকীয়তার পর বরিশাল থেকে ছেড়েছে লঞ্চ

দিনভর নাটকীয়তার পর বরিশাল থেকে ছেড়েছে লঞ্চ




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সরকারি নির্দেশনার ২৪ ঘণ্টা পরে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে যাত্রীবাহী ৩টি লঞ্চ। নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে রোববার রাত ৮টার পর কল-কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে ঢাকায় যাত্রা করে লঞ্চগুলো। তবে এ দিনে ঢাকা থেকে কোনো লঞ্চ বরিশালে আসবে না বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

 

 

জানা গেছে, পহেলা আগস্ট থেকে গার্মেন্টসসহ সকল ধরনের কল-কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এমন খবরে শনিবার সকাল থেকে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক-মহাসড়কে ঢাকামুখি শ্রমিকদের ঢল নামে। চাকরি বাঁচাতে তারা যে যার মতো করে পণ্যবাহী পরিবহন, থ্রি-হুাইলার এবং মোটরসাইকেলে কেউ বা আবার পায়ে হেঁটেই ঢাকায় যাত্রা করেন।

 

 

শ্রমিকদের এমন দুর্ভোগ লাঘবে শনিবার বিকেল থেকে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত বাস এবং লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয় সড়ক এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বরিশাল-মাওয়া রুটে শুরু হয় বাস চলাচল। যা রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিলো। তবে যাত্রী সঙ্কট এবং লঞ্চ কর্মকর্তা ও শ্রমিক না থাকার অজুহাতে বন্ধ রাখা হয় বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের বিলাশবহুল লঞ্চগুলো। তাই শনিবার রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে ফিরে গেছে অসংখ্যযাত্রী।

 

 

সরেজমিনে বরিশাল নদী বন্দরে দেখা যায়, রোববার সকাল থেকেই ঢাকামুখি যাত্রীদের ঢল নামতে শুরু করে বরিশাল নদী বন্দরে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নদী বন্দরের পন্টুন শ্রমিকে পূর্ণ হয়ে যায়। তবে যাত্রী বাড়লেও বরিশাল থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়বে না বলে জানিয়ে দেন লঞ্চ মালিকরা। তবে যাত্রী পরিবহনের অমুনতি পেয়ে সকালে অভ্যন্তরীণ রুটের বেশ কয়েকটি ছোট লঞ্চ ছেড়ে যায় নিজ নিজ গন্তব্যে। একইভাবে ভোলা, মেহেন্দিগঞ্জ, ঝালকাঠি, কাঠালিয়াসহ অভ্যন্তরীণ অন্যান্য রুট থেকে ছেড়ে আসে বেশ কিছু একতলা লঞ্চ।

 

 

এদিকে, ঢাকার লঞ্চ বন্ধ থাকার খবরে শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে নদী বন্দরে বিক্ষোভও করেন তারা। পরবর্তীতে দুপুর ১টার দিকে বরিশাল থেকে লঞ্চ ছাড়ার ঘোষণা দেন মালিকরা। ঘোষণার পর পরই বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করা এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চে প্রথম এবং দ্বিতীয় তলার ডেক শ্রেণী যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায়।

 

 

বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের কথা ছিলো। কিন্তু গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুর্ভোগের বিষয়টি নিয়ে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে ঊর্ধতন কর্মকর্তারা রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘বরিশাল নদী বন্দর ছাড়াও ঝালকাঠি এবং মঠবাড়িয়া থেকে দুটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। লঞ্চ দুটি ভায়া বরিশাল এবং চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় যাবে। ওই লঞ্চ দুটিতে অনেক যাত্রী ছিলো। এ কারণে একটি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করে চাঁদপুরের কিছু যাত্রী নিয়ে গেছে।

 

 

নিজাম শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার মো: হুমায়ুন কবির রাত রোববার ৮টার পরে নয়া দিগন্তকে জানান, বরিশাল নদী বন্দর থেকে রাতে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-০৯, কুয়াকাটা-০২ ও কীর্তনখোলা-২ লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD