টাকা ছাড়া সেবা মেলে না শেবাচিম হাসপাতালে Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




টাকা ছাড়া সেবা মেলে না শেবাচিম হাসপাতালে

টাকা ছাড়া সেবা মেলে না শেবাচিম হাসপাতালে




রিপোর্ট- রাজিব খান:বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীকে পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে পদে পদে নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। অনেক রোগীর মতে, দক্ষিনাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাসপাতালটিতে টাকা ছাড়া কোনো চিকিৎসা মেলে না। রোগীকে ট্রলিতে ওঠানো থেকে শুরু করে ভর্তি হওয়ার প্রতিটি প্রক্রিয়ায় গুনতে হয় টাকা। এক কথায় টাকা ছাড়া এখানে কোনো চিকিৎসা পাওয়া কষ্টকর। রোগীর জন্য বরাদ্দ খাবারও বিক্রি হয়ে যায় রোগীর অজান্তেই। রোগীদের নামে বরাদ্দকৃত অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে বাধ্য করা হয়। এসব অপকর্মের সঙ্গে ডাক্তার থেকে শুরু করে হাসপাতালের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স থেকে একজন রোগী নামানো হলে, রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নেয়ার পরপরই তাকে পরিশোধ করতে হয় ১০০ থেকে ২০০ টাকা। বিষয়টি জানতে বরগুনা জেলার আমতলী থেকে আসা এক রোগীর স্বজন মহসিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভাই এদের সঙ্গে কথা বললেই বিপদ। রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ওয়ার্ডে নিতে তালবাহানা করে। অনেক সময় রোগীকে ট্রলিতে ওঠানোর আগেই টাকা দিতে হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই এমন বেশ কয়েকটি চিত্র চোখে পড়ে।

পড়ে রোগীর ভর্তি কাগজ নিয়ে নার্সদের কক্ষে যাওয়া হয় এন্ট্রি করার জন্য সেখানেও তাদের সাথে কথা বলার জন্য রোগী স্বজনদের হতে হবে তাদেরই মত শিক্ষিত তা না হলে কথা বললেই তিরস্কার, অপমান এ যেন নিত্য ব্যবহার্য বস্তুর মত মেনে নিতেই হবে। এব্যপারে ৪তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ভোলা থেকে আসা এক রোগী স্বজন ইলিয়াস জানায়, কোন ব্যপারে পরামর্শ নিতে গেলে তাদের দূর্ব্যবহার তো আছেই, রোগীর প্রয়োজনে ডাকলেও পাওয়া যায় না সময় মত তারা তাদের ইচ্ছা মত আসবে। পরে যাওয়া হয় ডাক্তার রুমে সেখানে নেই তালবাহার শেষ, রোগীর অবস্থা যেমনই থাকুন না কেন, তাদের হাসি ঠাট্টা, নাস্তার টাইম শেষে মেডিকেল ছাত্র (ইন্টার্নি ডাক্তারদের) দ্বারা রিসিপ হয় রোগীর ফাইল। পরে শুরু হয় কে দিবে চিকিৎসা? তার সিদ্ধান্ত গ্রহন এতে রোগীর অবস্থা যে ভাবেই থাকুক তাদের সময় শেষে শুরু করবে চিকিৎসা। দেওয়া হয় পরীক্ষা, কয়েকজন রোগীর স্বজন অভিযোগ করেন, হাসপাতালে এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও কিছু চিকিৎসক প্রাইভেট প্যাথলজি বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বাধ্য করেন। এতে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয় রোগী স্বজনদের। এমতাবস্থায় হাসপাতালের অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের সনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা ও কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ নিলে হয়রানিমুক্ত সু-চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা এই সুবিধা বঞ্চিত রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD