সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ সম্প্রতি বেশ কয়েকজন ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ায় পর বিশেষ করে জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়া তার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন বেশ কিছু নির্মাণ কাজ যেমন সচিবালয়, র্যাব হেড কোয়ার্টাসসহ আরও অনেক কাজ বন্ধ হয়ে আছে।এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ হয়ে থাকার বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করীম বলেছেন, জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ায় বিকল্প চিন্তা করছেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। তার কাজগুলি কিভাবে এগিয়ে নেওয়া যাবে সেগুলো নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। কারণ এ সকল বড় প্রকল্প শেষ করতে হলে কোম্পানির ভূমিকা সেখানে থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু জি কে শামীম তো এখন গ্রেফতার। তাই যদি তার কোম্পানি কাজে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা বিকল্প পথ অবলম্বন করব এবং অন্য ঠিকাদার কোম্পানি নিয়োগ দিব।পিরোজপুরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব বলেন।
উল্লেখ্য, জি কে শামীম গ্রেফতার হওয়ার পরে তার পিএস দিদার বলেন, জি কে শামীম, জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের নামে বড় বড় ১৭টি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৪০০ কোটি টাকার কাজ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের। ৩০০-৩৫০ কোটি টাকার কাজ পঙ্গু হাসপাতালের।
এ ছাড়া বড় প্রকল্পের মধ্যে ৫০০ কোটি টাকার র্যাব হেডকোয়ার্টার, ১৫০ কোটি টাকার সচিবালয় কেবিনেট ভবন, ৪০০ কোটি টাকার এনবিআর, ২০০ কোটি টাকার মহাখালী ডাইজেস্টিভ এবং বেইলি রোডে ৩০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রয়েছে।
এর পাশাপাশি ২০-২৫ কোটি টাকার অ্যাজমা, ২০-২৫ কোটি টাকার ক্যানসার, ২০-২৫ কোটি টাকার সেবা মহাবিদ্যালয়, ৮০ কোটি টাকার নিউরোসায়েন্স, ৮০ কোটি টাকার বিজ্ঞান জাদুঘর, ১২ কোটি টাকার পিএসসি, ৩০-৬০ কোটি টাকার র্যাব ফোর্স, ৬৫ কোটি টাকার এনজিও ফাউন্ডেশন এবং মিরপুর-৬ তে ৩০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ রয়েছে জি কে শামীমের হাতে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) র্যাব শামীমের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার ৭ দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করে। এ সময় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজপত্র, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরি ডলার, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদের বোতল জব্দ করা হয়।
Leave a Reply