মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার জাপানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রীয় সফর শুরুর আগেই মঙ্গলবার দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম দ্য জাপান টাইমসে প্রধানমন্ত্রীর একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে।দেখে নেওয়া যাক কলামে কী লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উন্নয়নের জন্য জাপান-বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব শিরোনামের ওই কলামে প্রধানমন্ত্রী লিখেন, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যে সব সময়ই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় খাবারের টাকা জমিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল জাপানের শিক্ষার্থীরা।
১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ছিল জাপান। আমাদের দু’দেশের পতাকাও দেখতে অনেকটা এক রকম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময়ই বলতেন যে, জাপানের পতাকা তাকে সূর্যোদয়ের দেশটির কথা মনে করিয়ে দেয়। অপরদিকে, আমাদের দেশের পতাকা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা এবং আমাদের সবুজ ভূমির কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি সব সময়ই আমাদের কৃষি থেকে শিল্পায়ন সব ক্ষেত্রেই জাপানকে অনুসরণ করতে উৎসাহ দিতেন। ১৯৯২ সালে বিরোধী দলে থাকাকালীন একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জাপানের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক উন্নয়নের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান সফর করেন তিনি। সে সময় বাংলাদেশের পদ্মা এবং রুপসা ব্রিজ নির্মাণের কাজে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জাপান। রুপসা ব্রিজের কাজ অনেক আগেই শেষ করেছে জাপান।
২০১৬ সালে ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ছিল জাপান এবং বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য একটি পরীক্ষা। ভয়াবহ ওই হামলায় সাত জাপানি নাগরিকের মৃত্যু হয়। সে সময় জাপানের মানুষ এবং দেশটির সরকার আমাদের পাশে ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সময় সহযোগিতা করে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জাপান।
২০২২ সালে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করব আমরা। আমার ছোটবেলা থেকেই জাপানের প্রতি আলাদা একটি আকর্ষণ ছিল। আমি জাপানের চিত্রকলা, ক্যালেন্ডার, ডাকটিকিট, পুতুল ইত্যাদি সংগ্রহ করতাম। জাপান সব সময়ই আমার হৃদয়ের খুব কাছে আছে। জাপানের প্রতি এই টান বাবার কাছ থেকেই এসেছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে আরেকটি জাপান হিসেবে গড়ে তুলতে তার বাবার আকাঙ্ক্ষার কথাও তুলে ধরেন।
Leave a Reply