সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজির মামলায় এক ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এরা হলেন- ঝালকাঠি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাদিসুর রহমান মিলন এবং ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম সোহাগ ও পলাশ দাশ।মামলার বরাতে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান জানান, জেলা শহরের বিকনা এলাকার কামাল হোসেন হাওলাদার নামের এক ঠিকাদারের কাছে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদার দাবি করে আসছিলেন ছাত্রলীগ নেতা মিলন।
“পরে কামাল ঘটনাটি স্থানীয়দের জানায়।এতে মিলন ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ জানুয়ারি কামালকে মারধর করে। এ ঘটনায় মিলনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কামাল।ওসি বলেন, ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা মিলনের বাসায় অভিযান চালানো হয়।“এ সময় ১১টি দেশীয় ধারালো রামদা ও চারটি পাইপসহ প্রথমে মিলন আটক হয়। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাকিদের আটক করে পুলিশ।
উল্লেখ্য যে,ঝালকাঠি সদর সার্কেল এএসপি এম এম মাহমুদ হাসান এবং ওসি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলা দিয়ে গোটা পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম খান। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৫টায় শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম খানের ভাতিজা ঝালকাঠী জেলা সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি (বর্তমানে) যুবলীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ মিলন, জাহাঙ্গীর আলমের চাকুরীজীবী মেয়ে ও চাঁদাবাজী মামলার আসামী জেবুন্নাহার পপি, মোঃ সালেহ বেয়াই ও বেয়াইন শরিফা বেগম সহ বিভিন্ন আত্বীয়-স্বজন।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, দলিলপত্র-রেকর্ডমূলে ভোগ দখলীয় ১৫ শতাংশ বৈধ সম্পত্তি গ্রাস করতে তিন দফা মামলায় আদালতের ন্যায় বিচারে পরাজিত হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজী মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও নির্যাতন শুরু করেছে আঃ খালেক ডাকুয়াসহ অন্যান্যরা। মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা মাথায় নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
গত ১১ জানুয়ারী রাত ১২টার দিকে ভূমিদস্যু আঃ খালেক ডাকুয়া ও তার শ্বশুর চাঁন্দু হাওলাদার, পুত্র রিয়াজ, বাদল, লিটনসহ একাধিক লোকজন জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ঘর নির্মাণ করেন এবং ওই রাতেই এএসপি এম এম মাহমুদ হাসানের সহযোগীতায় ওসি খলিলুর রহমানের সাথে আতাত করে মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম খানকে প্রধান আসামী করে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এরপরে তার ছোট ভাই প্রবাসী দুলাল খান ও চাচাতো ভাই জাহিদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, এএসপি মাহমুদ হাসান ২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘ ৫ বছর ঝালকাঠিতে টাকার বিনিময় এ ধরণের কাজ অসংখ্য কাজ করেছেন। তিনি হাইকোর্টে বিচারাধীণ জায়গা জমির মামলাও টাকার বিনিময় নামমাত্র শালিশির নামে তার পক্ষকে প্রদান করেছেন।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির এসপি ফাতিহা ইয়াসমিনের সাথে দেখা করতে গেলে সে মিটিং এ ব্যস্থ আছেন বলে দেখা করেননি। তিনি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ভূমিলোভী চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ঝালকাঠির অভিভাবক সাবেক শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি ও পুলিশের আইজি’র হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে সদর সার্কেল এ.এসপি মাহমুদ হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন সৈয়দ মিলন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন নিয়ে এসে খালেক ডাকুয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা তদন্ত করি এবং বাদী ১৬ জনের বিরুদ্ধে সহ অজ্ঞাত নামা আরো বেশ কয়েকজন আসামী করে মামলা দায়ের করে।পুলিশ দুলাল বুলেট ও জাহিদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করি। এ মামলার অণ্য আসামীরা আদালত থেকে জামীনে রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক কথা।
Leave a Reply