সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ, মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ও অমাবস্যার জো’র ফলে বৃদ্ধি পেয়েছে পটুয়াখালীর নদ-নদীর পানি। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চলসহ উপকূলের জনপদ। পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে উঠেছে পানি। গত দুই দিন ধরে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওসব অঞ্চলের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জোয়ারের পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, দশমিনা, বাউফল, মির্জাগঞ্জ, দুমকি উপজেলার অর্ধশতাধিক চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি থেকে বাদ যায়নি পৌর শহরও। ৩-৪ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে ওসব চরের বাড়িঘর ও ফসলি জমি। পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে আছে মানুষ।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলের অদূরে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এতে বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল। বাতাসের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ জন্য পায়রা বন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মাছ ধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, পটুয়াখালীর পৌর শহররক্ষা বাঁধের স্লুইসগেট দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে গেছে শহরের পৌর নিউমার্কেট এলাকা। এ ছাড়া লঞ্চঘাট সড়ক, মহিলা কলেজ রোড, জুবিলী স্কুল রোড, স্বনির্ভর রোড, কাঠপট্টি এলাকা, হাসপাতাল চত্বর ডুবে গেছে।
পৌর নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দা ক্লিনিক ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, পৌর নিউমার্কেট প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে অনেক ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন। এ সমস্যার সমাধান দরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হালিম সালেহী বলেন, বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে কিছু জায়গায় পানি ঢুকেছে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, আবহাওয়ার অবস্থা দেখে সোমবার জেলেদের মাছ ধরা ট্রলার নিয়ে নিরাপদ স্থানে আসার জন্য বলা হয়েছে। এতে জেলেরা ট্রলার নিয়ে মহিপুর ঘাটে ফিরে এসেছেন। কিছু ট্রলার সাগরে থাকতে পারে।
Leave a Reply