শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জামিন বাতিল করা হয়েছে। খালাস চেয়ে বেগম জিয়ার আপিল খারিজ করে দিয়ে এ রায় দেন আদালত। এছাড়া এ মামলার অপর দুই আসামি কাজী সলিমুল হক ও শরফুদ্দিনের ১০ বছরের সাজা বহাল রয়েছে। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুদকের আইনজীবী। তবে ন্যায় বিচার হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। সাজা বাড়ানোর প্রতিবাদে আগামীকাল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু বিচারিক আদালত বেগম জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়ে সহযোগী আসামি তারেক’সহ ৫ জনকে দেন ১০ বছরের কারাদণ্ড।
সহযোগী আসামির চেয়ে প্রধান আসামির সাজা কম হওয়া নিয়ে শুরু থেকেই ছিলো আইনি বিতর্ক।
মঙ্গলবার খালাস চেয়ে বেগম জিয়া এবং অপর দুই আসামির আপিল খারিজ করে দুদকের সাজা বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন উচ্চ আদালত। রায়ে বেগম জিয়ার সাজা বাড়িয়ে দশ বছর করা হয়েছে। আপিল করার অপর দুই আসামি কাজি সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছরের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুদকের আইনজীবী।
দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘আমাদের যুক্তি ছিল উনি এই মামলার মুখ্য আসামি। ওনার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে কাজেই, আমরা যেহেতু ৪০৯ এ ওনাকে সাজা দিয়েছে আদালত। আমাদের আবেদন ছিল যাবজ্জীবন। আমাদের রিভিশনের কারণে যাবজ্জীবন তাকেও ১০ বছর জেল দিয়েছেন।’
এ মামলায় ২৮ কার্যদিবস শুনানি করেছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা। তবে শেষ পর্যায়ে এসে শুনানি না করে আদালতের প্রতি অনাস্থার আবেদন করলেও আপিল বিভাগ সে আবেদন গ্রহণ করেননি। রায়ের সময়ও আদালতে বেগম জিয়ার কোন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
পরে এক ব্রিফিংয়ে ন্যায় বিচার হয়নি দাবি করে বেগম জিয়ার আইনজীবী জানান, রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বেগম জিয়ার আইনজীবী জানান, ‘বেআইনিভাবে যে রায় দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্যে আগামীকাল উভয় বিভাগে আপিল বিভাগসহ সকাল ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি আমরা দিচ্ছি।
অরফানেজ ট্রাস্টের নামে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা অনিয়মের দায়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০ ফেব্রুয়ারি খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন বেগম জিয়া। অন্যদিকে বেগম জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদন করেছিলো দুদক।
Leave a Reply