মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘর্ষে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সর্বশেষ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৯২ জন। ইসরাইলের জাতীয় জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডাম (MDA) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সোমবার (১৬ জুন) জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরাইলে মোট ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই প্রবীণ নারী, দুইজন পুরুষ এবং একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। আহতদের মধ্যে এক ৩০ বছর বয়সী নারী গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানা চারটি স্থানের মধ্যে দুটি এলাকায় এখনো অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। হামলার তীব্রতা এতটাই ছিল যে একাধিক শহরে ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান।
এই উত্তেজনার সূচনা হয় রোববার রাতে, যখন ইসরাইল ইরানের অভ্যন্তরে সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবেই ইরান সোমবার ভোরে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে। আন্তর্জাতিক মহল শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানালেও উভয় পক্ষই এখন আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরান যদি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালানো অব্যাহত রাখে, তবে তেহরানকে এর চরম মূল্য দিতে হবে। তিনি আরও জানান, “ইসরাইল এখন প্রতিরোধ নয়, প্রতিশোধে বিশ্বাসী।”
অন্যদিকে ইরানি পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মাদ বাকের গালিবাফ হুঁশিয়ার করে বলেন, “শত্রুদের জন্য ইরান জাহান্নাম তৈরি করতে প্রস্তুত।” তিনি আরও বলেন, “ইসরাইলের যেকোনো হামলার জবাব আরও কঠোর হবে, এতে কেউ রেহাই পাবে না।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংঘর্ষ যদি দ্রুত থামানো না যায়, তাহলে তা শুধু এই দুই দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই বড় ধরনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখন বিশ্বনেতাদের কূটনৈতিক তৎপরতাই পারে এই উত্তেজনা প্রশমিত করতে।
Leave a Reply