বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে ৫ একর ভূমির লীজ সংক্রান্ত একটি নথি গায়েব’র লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভূমি অফিস তহশীলদার উপজেলার সোনাপাড়া মৌজার একটি মাছের ঘেরের রাস্তা কেটে দেয়ায় ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নদীতে নেমে যাওয়ার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আল সাইফুল সোহাগ এ সংবাদ সম্মেলন করেন। কলাপাড়া প্রেসক্লাবের নর্বনিবার্চিত সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সমে¥লন পরিচালনা করেন সাধারন সম্পাদক এস এম মোশারেফ হোসেন মিন্টু। এসময় কলাপাড়ায় কর্মরত প্রিন্ট, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সোহাগ জানান, ’বড় বালিয়াতলী ইউনিয়নের সোনাপাড়া মৌজায় ২০০৯ থেকে অদ্যবধি তার ১৫ একরের একটি মাছের ঘের আছে। যাতে তিনি চিংড়ি ও সাদা মাছ চাষ করেছেন। এজন্য ৫ একর জলমহল ভূমি অফিস থেকে তিনি মিস-কেস নং-০৬-কে-২০০৯-২০১০ মূলে ৩ বছরের লীজ নেন। পরে লীজ বর্ধিত করার জন্য অফিসে গেলে অফিস তালবাহানা করায় তিনি জানতে পারেন লীজের ফাইলটি অফিস থেকে গায়েব হয়ে গেছে। এছাড়া এই ৫ একর জমি ভুয়া বন্দোবস্ত বলে দাবী করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (এমপি-২০৬/১৭) মামলা করার পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত রিপোর্ট দিলে নির্বাহী আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
সোহাগ তার লিখিত বক্তব্যে আরাও জানান, ’ উক্ত ৫ একর জমি নিয়ে সিভিল মামলাও বিদ্যমান আছে এবং নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই তিনি উক্ত ৫ একর জমিতে কোন ধরনের কার্যক্রম করেন নাই। তা সত্ত্বেও ভূমি অফিসের তহশীলদার কামরুল ইসলাম সহ স্থানীয় নুর ছায়েদ, সোহেল, নুরমোহম্মদ ও নেছার মিয়া গত সপ্তাহে ঘেরের রাস্তা কেটে ফেলায় তার ২৫ লক্ষ টাকার মাছ নদীতে নেমে যায়। কামরুল ইসলাম প্রবাহমান খাল বা নদী না হওয়ার পরও অনৈতিক ভাবে ঘেরের রাস্তা কেটে ক্ষতি করে এবং লীজের ফাইলটি অফিস থেকে গায়েব করে। এছাড়া যে রাস্তাটি কেটেছে সেটি ১৫০/২০০ পরিবারের লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তা ছিল বলে দাবী করেন তিনি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া ভূমি অফিসের তহশীলদার মো: কামরুল ইসলাম জানান,’আমি ছয় মাস হল এখানে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে নথি গায়েবের যে অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা ও ভাওতাবাজি। এসি ল্যান্ড ও ইউএনও স্যারের সাথে কথা বললে সব জানতে পারবেন।
কামরুল ইসলাম আরও জানান,’যথাযথ কর্তপক্ষের নির্দেশে স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগম সহ শত শত মানুষের উপস্থিতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ঘেরের রাস্তা কাটা হয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ জানান, ’আমি কলাপাড়ায় যোগদানের পূর্ব থেকেই লীজ সংক্রান্ত নথিটি অফিসে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া আমরা ওই ৫ একর জমির উপর জেলা প্রশাসকের সাইন বোর্ড দিয়েছিলাম, যেটি পরবর্তীতে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া আমরা এখন আর কোন লীজ দেইনা। সেক্ষেত্রে লীজ সংক্রান্ত নথিটি থাকলেও কোন লাভ হতনা।
Leave a Reply