সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
কলাপাড়া সংবাদদাতা॥ কলাপাড়ার লালুলা ইউনিয়নের বানাতি বাজের নির্দিষ্ট গরুর হাট থাকা সত্ত্বেও প্রতি হাটের দিন হাটখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসে গরুর হাট। স্থানীয় তহসিল অফিসের সহযোগিতায় ইজারাদার রিপন প্রতি সপ্তাহের সোমবার এ গরুর হাট বসান। পাঠদান চলাকালীন অবস্থায় ক্রেতা-বিক্রেতার বাদানুবাদ আর গরু-ছাগলের ডাক চিৎকারে এক অরাজক বিশ্রী পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ে। ফলে ব্যাহত হয় শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
সরেজমিনে গত (১৭ জুন) সোমবার ওই বিদ্যালয়ে ঘুরে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে ক্লাস চলছে। কালো ব্লাক বোর্ডে সাদা চকের আস্তরনে পাঠদানরত শিক্ষক বলছেন এবং লিখে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা সে পাঠ গ্রহনের চেস্টা করছে। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতা আর গরু-ছাগলের ডাক চিৎকারে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ চলে যাচ্ছে মাঠের দিকে। ফলে অমনোযোগী হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি গোবর আর কাদায় পরিপূর্ন রয়েছে। ছুটি শেষে শক্ষার্থীরা সেখানে খেলাধুলা করতে পারছেনা।
একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, সপ্তাহের সোমবার দিন গরু-ছাগলের ভিড় ঠেলে মাঠ পার হয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অবিভাবক ও সচেতন নাগরিক বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে খেলার মাঠে এই গরু-ছাগলের হাট বসানোয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে চরমভাবে। বর্ষার মৌসুম হওয়ায় মাঠে সারাক্ষণ কাদা জমে থাকে। শিক্ষার্থীরা সেখানে খেলাধুলা করতে পারে না। এমনকি তারা মাঠ দিয়ে চলাচলও করতে পারে না। গরুর হাটের কারণে বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সবুজ প্যাদা বলেন, প্রধান শিক্ষক এবং ইজরাদারকে গরুর হাট না বসানোর জন্য অনুরোধ করি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল বলেন, স্থানীয় তহসিলদার ইজারাদারের মাধ্যমে হাট কালেকশন করে থাকেন। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আশ্বস্ত করা হয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে এখানে আর হাট বসানো হবেনা। লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিশ্বাস বলেন, বিদ্যালয়ের সামনে গরু ছাগলের হাট না বসানোর জন্য তহসিলদারসহ ইজারাদারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply