সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ ২৬ ডিসেম্বর রবিবার কলাপাড়ার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে হাই ভোল্টেজ টিয়াখালী ইউনিয়নে হামলা-মামলা হাতুরি বাহিনী আতংকে সাধারন জনগন। নীলগঞ্জ, টিয়াখালী ও চাকামইয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী উত্তাপে উত্তাপ্ত হয়ে উঠেছে দুই ইউনিয়ন টিয়াখালী ও চাকামইয়া। রির্পোট লেখা পর্যন্ত নীলগঞ্জ ইউনিয়ন শান্ত রয়েছে। প্রস্তাবিত জেলা কলাপাড়ায় চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চাকামইয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় কলাপাড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় চাকামইয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রাথী হুমায়ুন কবির কেরামত (নৌকা) ও মজিবর রহমান ফকিরকে (ঘোড়া) আসামী করা হয়েছে।
পুলিশ এ ঘটনায় মামলার এজাহারভূক্ত আসামী নৌকা মার্কার প্রার্থীর পুত্র ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হ্ওালাদার, গোলাম মোস্তফা, আতিকুর রহমান, মনির সিকদার ও নয়া মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার ১৩ ডিসেম্বর গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর রাতে চাকামইয়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রার্থী মজিবর রহমানসহ উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান জানান, সোমবার সকালে হোসনেয়ারা বেগম ও মনির হোসাইন বাদী হয়ে এ মামলা দুটি দায়ের করেন। দুই মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও ৪৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ন কবির কেরামতের পক্ষে তার স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম এর মামলায় বিএনপি সমর্থীত স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবর রহমান ফকির, তার ভাই মানিক ফকির, বজলুর রহমান ফকির, মনির ফকির, ভাইয়ের ছেলে রনি ফকির, আশ্রাফুল ফকির, দুলাল ফকির, হারুন ফকির, মোঃ হারুন, টিটু ফকির, রাহাত, বাচ্চু তালুকদার, মিজানুর রহমান তালুকদার, কালাম চৌকিদার, আনোয়ার, মনির সিকদার , বাহাদুর খাঁ, পলাশ সরদার, নয়া মিয়া, জালাল সরদার, শহিদ ফকির ও বাবুল হাওলাদারকে আসামী করা হয়েছে।
বিএনপি সমর্থীত স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে মামলা করেছেন তার ভাই মনির হোসাইন। মামলায় আসামী করা হয়েছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদার, তার ছেলে হাসিবুল হাওলাদার, গিয়াস মাতুব্বর, আরিফ, রুবেল হাওলাদার, বেল্লাল সিকদার, আঃ রহমান চৌকিদার, রুবেল, কালাম ওরফে কালা, সাদ্দাম, হাসান, হারুন মীর, জামাল হাওলাদার, সিদ্দিক সিকদার, লিটন, শহিদুল খাঁ, আমানুর, আলম সরদার, আরিফুল ইসলাম ফারুক, জাহাঙ্গীর চাপরাশি, আলআমিন ও গোলাম মোস্তফাকে।
দুই প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও সমর্থকরা হামলা ও মামলায় জড়িয়ে পড়ায় গত দুদিন ধরে চাকামইয়া ইউনিয়নে তাদের নির্বাচনী প্রচারাভিযান অনেকটা বন্ধ রয়েছে। একইসাথে গোটা এলাকায় পুলিশের টহল জোড়দার করায় অনেক কর্মী সমর্থক গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসীম জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ হামলার ঘটনায় যারাই জড়িত থাকাকু তাদের দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply