মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি এলাকায় অজ্ঞান পার্টির সদস্য ধরতে গিয়ে বিপাকে পরেছে এপিপিএন এর সদস্যরা। গতকাল দুপুর ২ টার দিকে কর্ণকাঠি এলাকার দক্ষিনপার্শে¦ নলছিটি থানার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। জানা গেছে, গত বেশ কিছু দিন পূর্বে বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানা এলাকার জাকির মাষ্টারের পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। পরে তিনি কাজিরহাট থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেন। পরে তাকে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা। তিনি ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজী হলে গতকাল সেই টাকা নিয়ে কর্ণতকাঠি এলাকার খয়রাবাদ ব্রীজের নিচে অবস্থান নেয় এপিপিএন এর সদস্যরা।
তখন অজ্ঞান পার্টির সদস্য নদীর দক্ষিনপাড়ে অথাৎ নলছিটি থানার দপদপিয়া এলাকায় নদীর পাড় হয়ে ওপারে গিয়ে কাউকে না পেয়ে দেখতে পায় একটি ছেলে গরু বাধতে আছে। তখন এপিপিএন এর কনেষ্টবল মোঃ জুয়েল ছেলেটিকে গিয়ে উচ্চবাচ্চ স্বরে কথা বললে উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায় ছেলে। এসময় এপিপিএন’র কনেষ্টবল জুয়েল ও এসআই জহিরুল ইসলাম ছেলেটিকে মারধর শুরু করে। এসময় ১৭ বছরের ছেলে সাকিব ডাক চিৎকার দিলে ছুটে আসে স্থানীয়রা। ছুটে এসেই এপিপিএন এর সদস্যদের মারধর করতে শুরু করলে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে হাজির হন বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদুর রহমান।
তিনি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানায় নিয়ে যান এপিপিএন সদস্য ও আহত কলেজ ছাত্র’র পরিবার। এসব ঘটনার বিবরন দেন এসআই আসাদুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে ধয়াশা তৈরি করেছেন বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মোস্তফা হায়দার। গতকাল তার সাথে একাধিক বার সরকারী সেল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি অসুস্থ্য বলে জানান ওসি তদন্ত ফয়সাল আহম্মে। অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) ফয়সাল আহম্মেদ জানান, এপিপিএন এর এসপি স্যারের সাথে কথা বলে তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। যা করার তারাই করবে।
এবিষয় এপিপিএন এর এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, আমাদের মধ্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো। তবে এব্যাপারে এপিপিএন এর উর্ধতন কোন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। আরো জানা গেছে আহত সাকিব(১৭) বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠি জে আর স্কুল এন্ড কলেজের একাদ্বশ শ্রেনীর ২য় বর্ষের ছাত্র।
Leave a Reply