কথা রাখেনি উপজেলা চেয়ারম্যান রিন্টু !' মিলাদে যাওয়ার ব্যাস্ততা ছবি' Latest Update News of Bangladesh

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কথা রাখেনি উপজেলা চেয়ারম্যান রিন্টু !’ মিলাদে যাওয়ার ব্যাস্ততা ছবি’

কথা রাখেনি উপজেলা চেয়ারম্যান রিন্টু !’ মিলাদে যাওয়ার ব্যাস্ততা ছবি’




ভয়েস অব বরিশাল ॥ সারা দেশ ব্যাপি বর্তমান সরকার যখন ডিজিটাল উন্নয়নে ব্যাস্ত ঠিক তখনই আলোর নিচে অন্ধকারের মতই দিন কাটাচ্ছে বরিশাল সদর উপজেলার ৭ নং চরকাউয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব কর্নকাঠীর মানুষ। এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত লাগেনি কোন উন্নয়নের ছোঁয়া। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের থেকেও দূর্ভোগ আর চরম ভোগান্তিতে জীবন যাপন করছেন বরিশাল শহরের খুব কাছে বাস করা সদর উপজেলার কর্নকাঠীর মানুষ। পুরো গ্রামটিতে নেই একটিও পাকা এমনকি ইট বিছানো রাস্তা। এতে করে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম রয়েছে প্রশ্নের সম্মূখীন। স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন স্কুল, কলেজ, মাদরসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শহরে চাকুরিগামী, শ্রমজীবি হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা সহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে ঘর থেকে বের হলেই তাদের পরতে হয় কর্দমাক্ত রাস্তায়। আর এই কাঁদা মাটি পেরিয়েই তারা বছরের পর বছর দিন যাপন করছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরে গ্রামবাসীরা তাদের অসহায়ত্বর কথা জানালেও কি এক আজানা কারনে সবাই রয়েছেন বধির।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন খান জানান, আমাদের ৮ নং ওয়ার্ডে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় বা মাদরাসা না থাকায় আমাদের ছেলে মেয়েদের যেতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী ৯ নং ওয়ার্ডে। প্রতিদিন পড়াশুনার উদ্দেশ্য কর্নকাঠী জি আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ, কর্নকাঠী ই.ই আলিম মাদরাসা, রানির হাট কলেজ সহ বেশ কিছু বাহিরের মাদরাসা কলেজে পড়াশুনার জন্য যেতে হচ্ছে তাদের। এর পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে আমাদের এলাকার ছেলে মেয়েরা।

এছাড়াও চিকিৎসা সেবার জন্য প্রতিদিন শহরের শের-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় যেতে এই গ্রামবাসীর। অথচ প্রতিদিন ৪ কিলোমিটার পথ কাঁদা পানি পেরিয়ে বের হতে হয় এলাকার সাধারন জনগনের । এ বিষয় ভূক্তোভুগী ইলিয়াছ খান জানান, আমার গর্ভবতী স্ত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জরুরি ভাবে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হলেও শুধু মাত্র এই রাস্তাটির কারনে সময় মত চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌছাতে না পারায় আমার অনাগত শিশুটি মাতৃগর্ভেই মৃত্যু বরন করে। কান্না জড়িত কণ্ঠে ইলিয়াজ জানান, আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশে বরিশাল শহরের পাশে বাস করেও সময় মত চিকিৎসার অভাবে আমার প্রথম সন্তানটির মুখ আমি দেখতে পারিনি। আলতাফ কাজী নামে স্থানীয় এক আ’লীগ নেতা জানান, আমরা ৮ নং ওয়ার্ড বাসী সদর উপজেলায় বাস করলেও রাস্তার অভাবে আমাদের শিক্ষা,চিকিৎসা, কর্মসংস্থানে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের এলাকার ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা রাস্তার এই অবস্থায় কারনে স্কুলে যেতে পারছেনা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আজিমদ্দির কালভার্ট হয়ে বারেক মৃধার পুল,কাজী বাড়ীর মসজিদ হয়ে আব্বাস খানের দোকান পর্যন্ত গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়া পুরো রাস্তাটাই চলাচলের সম্পূর্ন অযোগ্য।

এ বিষয় এলাকার অধিকাংশ জনসাধারণের ভিতরেই রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ব্যার্থতার বিষয়টিও উচ্চস্বরে প্রকাশ করছেন তারা। একটি সূত্র জানায়, সদর – ৫ আসনের সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার রাস্তার প্রকল্প তৈরি করে উপজেলা অফিসে জমা দিলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে তার কোনটাই ব্যাস্তবায়িত হয়নি। স্থানীয়রা আরও জানান, এই ওর্য়াডের মহিলা মেম্বার পাপিয়ার স্বামী সহিদ নির্বাচনে তার স্ত্রীকে জয়ী করার উদ্দেশ্যে জনগনকে প্রলুব্দ করার লক্ষে নির্বাচনের পূর্বে ঐরাস্তা গুলোর মাপ জোপ করলেও সেটা ছিলো একটি কৌশল।

তবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আজ পর্যন্ত ঐরাস্তায় আর তাদের পায়ের ধুলা পরেনি। স্থানীয় স্বপন খান জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রায়াত মরহুম শওকত হোসেন হিরন ২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কাজী আলতাফ হোসেনের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে এসে সাইদুর রহমান রিন্টুর জন্য ভোট চান এবং প্রায় সাত হাজার জনসম্মুখে সাইদুর রহমান রিন্টুকে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান করা হলে ৮ নং ওয়ার্ডের রাস্তা ১ বছরের মধ্যে কার্পেটিং করার প্রতিশ্রুতি দেন।

কিন্তু সাইদুর রহমান রিন্টু সদর উপজেলার চেয়ারম্যান হলেও হাজার হাজার জনতার সামনে দেওয়া মরহুম শওকত হোসেন হিরনের সেই প্রতিশ্রুতি আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন তো দুরের কথা নির্বাচনের পর আর কোনদিন এই ওয়ার্ডে আসেনি।

এবিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবিকে প্রশ্ন করলে তিনি মিলাদে যাওয়ার ব্যাস্ততা দেখিয়ে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। এদিকে সদর উপজেলার প্রকৌশলী মাইনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,ঐওয়ার্ডের ২/৩ টি রাস্তার ইস্টিমেট তৈরি করে ঢাকা পাঠিয়েছি। আমরা আশা করছি প্রকল্পগুলো পাশ হলে আগামী ২/১ বছরের মধ্যে সব রাস্তার উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। বিষয়টি নিয়ে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির বলেন,উন্নয়ন কাজ চলমান। তারপরও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD