মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শুক্রবার বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবং বলেন, “এই সনদ দেশের রাজনৈতিক ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের নতুন দিশা নির্দেশ করবে।”
সনদে মোট সাত দফা অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত। প্রথমে জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দ্বিতীয়তে জনগণের ইচ্ছা সর্বোচ্চ আইন হিসেবে স্বীকৃতি, তৃতীয়তে সনদের বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন অগ্রহণযোগ্য ঘোষণা। চতুর্থ দফায় ১৬ বছরের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান, পঞ্চমে হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের মর্যাদা, শহীদ পরিবার ও আহতদের সহায়তা ও পুনর্বাসনের অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত।
ষষ্ঠ দফায় গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রসংস্থা, প্রশাসন, পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের অঙ্গীকার করা হয়েছে। সপ্তম দফায় উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা হবে।
এই অনুষ্ঠান দেশব্যাপী গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং রাষ্ট্র সংস্কারের একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় হাজার হাজার মানুষ স্বৈরশাসন ও ন্যায়বিচারের জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন। আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে এই সনদ গ্রহণ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাবে। এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য উদাহরণ স্থাপন করবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, নতুন প্রজন্মের জন্য গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মূল্যবোধ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
সনদে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতি এবং নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করছে। এটি আগামী নির্বাচনের জন্য উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি দেশকে স্থিতিশীল ও সুব্যবস্থাপিত রাজনীতির দিকে পরিচালিত করবে।
Leave a Reply