শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ আমপানের জেরে ডায়মন্ড হারবার ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় হুগলি নদীর বাঁধে ধস নেমেছে। কোথাও এখনও ধস না নামলেও, বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে নদীবাঁধ। সামনেই পুর্ণিমার কোটাল।
তার আগে বাঁধ মেরামতি না করলে জোয়ারের জল ঢুকে এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দিন কয়েক আগে আমপানের দাপটে ডায়মন্ড হারবার ১ ব্লকের হাঁড়া ও সুলতানপুর গ্রামের কাছে প্রায় ২০০ মিটার জুড়ে হুগলি নদীর বাঁধে ধস নামে। ডায়মন্ড হারবার পুরসভা এলাকায় নুনগোলা পাড়ার পাশে নদী বাঁধে ধস নেমে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।
নুরপুর পঞ্চায়েতের পশ্চিম ভবানীপুর স্লুইজ গেটের কাছে এবং উত্তর নুরপুর ও শ্রীফলতলা গ্রামের কাছেও প্রায় এক হাজার ফুট বাঁধে ধস নেমেছে। কোথাও কোথাও আমপানের পর ভাঙা বাঁধে জোয়ারের জলের ধাক্কায় আবার ধস নেমেছে।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাঁধ সারাতে উদ্যোগী হচ্ছে না সেচ দফতর। সামনের কোটালের আগে বাঁধ সংস্কারের কাজ না শুরু হলে যে কোনও মুহুর্তে এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
নুরপুর এলাকা বাসিন্দা দেবদূত মণ্ডল বলেন, ‘‘ধস নামা বাঁধে এখনও কাজ শুরু করেনি সেচ দফতর। এই পরিস্থিতিতে কোটালের জোয়ারে সুকদেবপুর, শিমুলবেঁড়ে, নিলা, ভবানীপুর, মকুন্দপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
ডায়মন্ড হারবার ১-এর বিডিও মিলনতীর্থ সামন্ত বলেন, ‘‘আমপানের জেরে হাঁড়া ও সুলতানপুর গ্রামের কাছে হুগলি নদীর বাঁধে প্রায় ৩০০ মিটার ধস নেমেছে।
ঝড়ের পরেই ওই বাঁধ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বিষয়টি সেচ দফতরকে জানানোর পর মেরামতির কাজ শুরু করেছে।
ডায়মন্ড হারবার ২-এর বিডিও নাজিরউদ্দিন সরকারি বলেন, ‘‘বাঁধে ধসের কথা মহকুমা শাসক ও সেচ দফতরকে জানিয়েছি।
ডায়মন্ড হারবার সেচ দফতরের সহকারি বাস্তুকার কৌশিক সাহা বলেন, ‘‘ধস নামা বাঁধগুলি দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।’’সুত্র, আনন্দবাজার
Leave a Reply