মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কোরবানির ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশের আমদানি ঘটেছে। বিশেষ করে বরিশালের পোর্টরোডের একমাত্র বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকাল থেকেই ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা, জেলে আর শ্রমিকদের পদচারণায় এক ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ চলছে সেখানে।
ফিশিংবোট, বরফকল থেকে শুরু করে প্যাকিং পর্যন্ত শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার ইলিশের আমদানি বাড়ায় দরও কিছুটা নিম্নমুখি রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা এখন ফাঁকা। তাই ঢাকায় মাছের তেমন চাহিদা নেই। আর মৌসুমের এ সময়টা এমনিতেই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। সবমিলিয়ে এখন বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের অবতরণ কেন্দ্র ও মৎস্য আড়তগুলোতে ইলিশের চাপ বেড়েছে।
পোর্টরোডের মাছ ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে ঢাকা, চাঁদপুরে ইলিশের চাহিদা কমে গেছে, আবার নিচের দিকে অর্থাৎ আলীপুর-মহিপুরে ইলিশের আমদানি অত্যধিক হওয়ায় সেখানে দর কমে গেছে। ফলে সবমিলিয়ে বরিশালের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ছুটে আসছেন জেলেরা। আজ সকাল থেকেই পোর্টরোডে বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ইলিশ আমদানি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইলিশের আমদানির ফলে দর কমে যাচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে ভেলকা সাইজের ইলিশ মণপ্রতি ৩২-৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ২৮-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আবার এলসি সাইজের ইলিশ ঈদের আগে মণপ্রতি ৪৬-৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ৪০-৪১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ মণপ্রতি ৫৩-৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ৪৮-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকরা বলছেন, নদী ও সাগরে ইলিশ শিকার অব্যাহত থাকলে আগামী কিছুদিন বরিশালের অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের আমদানি এ রকমই থাকবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ইলিশের চাহিদা বেড়ে গেলে দামও ঊর্ধ্বমুখি হবে।
Leave a Reply