শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:নতুন করে আর কোন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয় বলে জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জাতিগত নিধনের শিকার এই জাতির আগমণ বন্ধে এই প্রথমবারের মত সীমান্ত বন্ধের কথা জানালো সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে এই কাউন্সিলকে জানাতে চাই যে, মিয়ানমার থেকে আসা নতুন কাউকে বাংলাদেশে আর জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।
পররাষ্ট্র সচিব প্রশ্ন করেন, প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু এই জাতির জন্য সহমর্মিতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ কি লাভবান হচ্ছে?
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ ভূমিকার অভাব থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন শহীদুল হক। বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে, মিয়ানমার এমন দোষারোপ করার চেষ্টা করায় দেশটির সমালোচনা করেন তিনি। এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি উল্লেখ করেন, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনায় মিয়ানমার যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেসব ছিল ‘ফাঁকা বুলি’। এ বিষয়ে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তারা। একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যেতে রাজি হয়নি, কারণ সেখানে তাদের নিরাপদে বসবাস করার মত পরিস্থিতি মিয়ানমার এখনও তৈরি করেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সাত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রিত আছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই জাতির উপর মিয়ানমার গণহত্যা চালিয়েছে বলে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল ইতোমধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
Leave a Reply