রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
আমতলী সংবাদদাতা: বরগুনার আমতলী উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারের সড়ক দখল করে অবৈধভাবে করাতকল স্থাপন করেছেন বাবুল সরদার ও খালেক সরদার। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ। দ্রুত সড়ক থেকে অবৈধ করাতকল অপসারণের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারে ১৯৬৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জমি অধিগ্রহণ করে তিন ব্যান্ডের স্লুইজগেট নির্মাণ করে। ওই স্লুইজের দুই পাড়ে মানুষ চলাচলের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সড়ক নির্মাণ করে। ওই সড়ক দিয়ে কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে।
২০০০ সালে সড়কের ওপরে বাবুল সরকার ও খালেক সরদার অবৈধভাবে করাতকল গড়ে তোলে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সড়ক দখল করে করাতকল নির্মাণে বাঁধা দেয়। তারা স্থানীয় লোকজনের বাঁধা তোয়াক্কা না করে করাতকল চালিয়ে যাচ্ছেন। সড়ক দখল করে করাতকল গড়ে তোলায় ওই সড়ক দিয়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল করতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, সড়ক দখল করে করাতকল স্থাপন করা হয়েছে। সড়কের ওপরে বড় বড় গাছের গুড়ি, চেরাই কাঠ ও কাঠের গুড়ি ফেলে রাখা হয়েছে। সড়কের অধিকাংশ স্থান জুড়ে রয়েছে বড়বড় গাছের গুড়ি।
আমড়াগাছিয়া বাজারের সালেহা বেগম, সুমা আক্তার, বাদল সরকার, আনোয়ার ফকির ও কামাল সরদার বলেন, এ সড়ক দিয়ে কুকুয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষ চলাচল করে। ওই সড়ক দখল করে করাতকল নির্মাণ করায় মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত এ করাতকল অপসারণ করে মানুষের চলাচলের জন্য সড়ক উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানাই।
করাতকল মালিক বাবুল সরদার সড়কে বড় গাছের গুড়ি ফেলে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, করাতকলের বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা তা আমি জানি না। আমার বাবা এ করাতকল গড়ে তুলেছেন। সড়কের ওপর গাছ রাখা আমার ভুল হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সড়ক থেকে গাছ সরিয়ে ফেলব।
আমতলী উপজেলা বন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান আকন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply