রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের ২০ তারিখ মারা যায় জুয়েলের মা। এর ৪৩ দিন পর জানুয়ারি মাসের ০৩ তারিখ মারা যায় জুয়েলের বাবা ছোরাপ মোল্লা। আর বাবা মারা যাওয়ার ২৩ দিন পর মারা যায় জুয়েল। মর্মান্তিক এ শোক মেনে নিতে পারছেনা জুয়েলের পরিবার পরিবারসহ এলাকাবাসী। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে গ্রামের পুরো পরিবেশ।
মা মারা যাওয়ার পর বাবাকে দেখা শোনার জন্য বরগুনা জেলার বেতাগী ইউনিয়নের বন্দীখালি গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে নিজ মামাতো বোন খাদিজাকে বিয়ে করেছিল জুয়েল। মায়ের পছন্দের মেয়ে ছিল খাদিজা। তাই মায়ের ইচ্ছা পূরন করেছিল জুয়েল। স্ত্রীকে তুলে আনার প্রস্তুতি চলছিল। শেষ পর্যন্ত বিধাতা আর জুয়েলের ঘর বাধাঁর স্বপ্ন পূরন করেনি। ছয় ভাই বোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট জুয়েল। কথা গুলো বলছিলেন আর অঝোরে কাদছিলেন জুয়েলের মেঝ ভাই নিজাম।
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে মোটরসাইকেল যোগে কলাপাড়া ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় জুয়েল (২৬)। এ সময় তার বন্ধু মাহাবুব আলম সবুজ (৩০) গুরুতর আহত হয়। রবিবার সন্ধ্যা সারে আটটার দিকে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের মোহম্মদপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সবুজকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। জুয়েল কলাপাড়া পৌরশহরের রহমতপুর এলাকার মৃত ছোহরাব রাজের ছোট ছেলে ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারন। সবুজ উপজেলার মহিপুর এলাকার মো.আইয়ুব আলী হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা-কলাপাড়া সড়কের মাহিন্দ্রা চালক মিলন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয়দের ধারনা, তাদের মটোরসাইকেল নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মাহিন্দ্র চালক মিলন জানান, মোহম্মদপুর নামক এলাকায় তারা দু’জনকে রাস্তার পাশে গুরুতর অবস্থায় পরে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। তারা কিভাবে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে তা তিনি বলতে পারছেন না।
কলাপাড়া থানার ওসি মো.মনিরুল ইসলাম জানান,খবর শোনা মাত্র ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এদিকে জুয়েলের শোক সমাপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী রুহুল আমিন, সাধারন সম্পাদক শোয়েবুর রহমান সোয়েবসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
Leave a Reply