সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (দপদপিয়া) সেতুর টোল ক্যাশিয়ার আনিসুর রহমান রুম্মান বিশ্বাস (২২) হত্যার ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জড়িতের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা দুই দফা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। খুনি সন্ত্রাসীদের বিচার চেয়ে বাসা-বাড়ির দেয়াল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সাঁটানো হয়েছে শত শত পোস্টার। এ অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে শঙ্কিত স্বজন ও এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি রাতে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দপদপিয়া জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিশ্বাস বাড়ির সামনে জমি বিক্রির কমিশন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রুম্মানকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি বিকেলে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে রুম্মানের মরদেহ নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দপদপিয়া এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। ওইদিন রাতে নিহতের চাচাতো ভাই মিঠু বিশ্বাস বাদি হয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২২ জনকে আসামি করে ঝালকাঠির নলছিটি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় ৬ জানুয়ারি সকালে ফের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের দপদপিয়া জিরোপয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নিয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুম্মানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
শুক্রবার সরেজমিন দপদপিয়া জিরোপয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক সংলগ্ন বাসা-বাড়ির দেয়াল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ভয়ঙ্কর ৪ জন সন্ত্রাসী কিলারের ছবি সংবলিত শত শত পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে ওই ৪ সন্ত্রাসীর ফাঁসি দাবি করা হয়েছে।
এদিকে কোন সান্ত্বনাই থামাতে পারছেনা রুম্মানের মায়ের আর্তনাদ। সন্তান শোকে অজ্ঞান হয়েছেন বাবাও। আদরের সন্তানকে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
নলছিটি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। আশাকরি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
Leave a Reply