মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
রিয়াজ মাহামুদ আজিম॥ বরিশাল সদর উপজেলার ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে আপত্তিকর অবস্থায় এক মসজিদের ইমামকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।আটকের পরে ওই ইমামকে ঘর বন্দি করে দুইটি ব্ল্যাংক চেক রাখা হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন মসজিদ ইমাম এনায়েতুল্লাহ ।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত আয়ুব খান বাড়িতে(মজুমদার বাড়ি) এ ঘটনা ঘটে।
এনায়েতুল্লাহ ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার ডিগ্রিরচর গ্রামের বাসিন্দা সে তিন সন্তানের জনক। সুত্র মতে জানা যায়, ১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নে ৯ নং ওয়ার্ডে খান বাড়ির সম্মুখে শোলনা শামসিয়া জামে মসজিদে দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ইমামতি করে আসছেন।তিনি ওই এলাকার মৃত আয়ুউব খানের বাড়িতে থেকে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন সেই সুবাদে পাশ^বর্তি ৬নং ইউনিয়নের মাধপপাশা গ্রামের হাওলাদার বাড়ির (ঘাটলাওয়ালা বাড়ি) হায়দার আলি হাওলাদারের বড় পুত্র প্রবাসী সান্টুর স্ত্রীর( দুই সন্তানের জননী) সাথে দৈহিক মেলামেশা করে আসছে এনায়েতুল্লাহ।এদিকে সান্টুর ছোট ভাই মিন্টু এনায়েতুল্লাহকে গভির রাতে তার ভাবির সাথে হাতেনাতে ধরে ফেলে।এসময় এনায়েতুল্লাহর কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবী করে বসে মিন্টু।
টাকা না দিলে রাত শেষে সব বলে দেবে মিন্টু। এনায়েতুল্লাহ মানসম্মানের ভয়ে টাকা না দিতে চাইলে তাকে মারধর করে পরে একটি ব্ল্যাংক চেক রেখে দেয় মিন্টু। অন্য দিকে শুক্রবার (২০ সেপ্টম্বর) সকালে ওই এলাকার ইয়াসিন খান বিষয়টি জানতে পেরে এনাতুল্লাহকে ৩ ঘন্টা বসতঘরে আটকে রাখে একই এলাকার মাকলেচুর হাওলাদারের পুত্র আবুল হাওলাদারকে খবর দিলে তিনিও একটি ব্ল্যাংক চেক রেখে দেন।
এসময় ইমাম এনায়েতুল্লাহর ডাক-চিৎকার শুনে ইয়াসিনের বড় ভাই রিতু খান তাকে উদ্ধার করে।
১নং রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন বলেন,এক জন মসজিদের ইমামকে বসতঘরে বন্দি করে রাখা আসলেই অন্য।বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।
এ বিষয় এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাহিদ বিন আলম বলেন,আমাদের কাছে কে কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নেয় হবে।
প্রিয় পাঠক, আল্লাহ নামে ছেরে দেয়া গরু বিক্রি করলেন ইয়াসিন খান।আসছে বিস্তারিত…
Leave a Reply