সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে প্রবেশে বাঁধা দেয়ায় শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের কথিত নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরীর সরকারি বরিশাল কলেজে এই ঘটনা ঘটে। কথিত ওই ছাত্রলীগ নেতা সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের মাস্টার্স এর ছাত্র খাইরুল ইসলাম সৈকত। সে নিজেকে বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা দাবী করে আসছে। ইতিপূর্বেও বিএম কলেজে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে একাধিকবার আলোচনায় আসে সৈকত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাস্টার্স বর্ষের পরীক্ষায় বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের একাংশের আসন বিন্যাস করা হয়েছে সরকারি বরিশাল কলেজে। আজ সোমবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য মোবাইল ফোন নিয়ে কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করে বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা খাইরুল ইসলাম সৈকত।
এসময় কলেজের প্রধান ফটকে তাকে বাঁধা প্রদান করে দায়িত্বর পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই স্থানে থাকা সরকারি বরিশাল কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ও স্টাফ কাউন্সিলের সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক লতিফা আখতারকে হুমকি সহ অসৌজন্য মুলক আচরন করে। এমনকি ওই শিক্ষক নেতাকে ছাত্রলীগ নেতা লাঞ্ছিত করে বলেও জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ বিষয়ে শিক্ষক লতিফা’র বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সরকারি বরিশাল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক পরিমল বনিক বলেন, তেমন কোন ঘটনা না। বিএম কলেজের ওই ছাত্র মোবাইল ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টা করে। চেক পোস্টে বাঁধা দেয়ায় ওই ছাত্রর সাথে স্টাফ কাউন্সিল সেক্রেটারীর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। আমরা তখন ওই ছাত্র’র মোবাইল ফোন নিয়ে আটকে রাখি। পরে অবশ্য পরীক্ষা শেষে ওই ছাত্র তার মোবাইলটি নিয়ে দ্রুত চলে গেছে।
Leave a Reply