বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ আগামীকাল (২৩ জানুয়ারি) ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক মাস পূর্ণ হবে। দবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বরগুনার তালতলী উপজেলায় ছোটবগী গ্রামের নানি-নাতি। এক মাসেও তাদের সন্ধান পায়নি স্বজনরা। তারা বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তাও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ও প্রশাসন।
লঞ্চ দুর্ঘটনার পরদিন (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২ জন নিখোঁজের খসড়া তালিকা করা হয়। ওই তালিকায় তালতলী উপজেলার ছোটবগী পিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাশের বাসিন্ধা কামাল শিকদারের স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫) ও তাঁর নাতি মো. জুনায়েদ শিকদারের (৭) নাম রয়েছে।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক মাস পূর্ণ হলেও এখনো তাদের দুজনকে তার স্বজনরা খুঁজে পায়নি। তারা আদৌ বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে তাও তারা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
নিখোঁজ রেখা বেগমের স্বামী কামাল শিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মনকে বুঝাতে পারছি না। কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। আদৌ আমার স্ত্রী ও নাতি বেঁচে আছে না মারা গেছে তা এখনো বলতে পারছি না।
‘
ছোটবগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুহা. তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, ‘লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হয়েছে। কিন্ত নিখোঁজ ওই নানি-নাতিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখনো তাদের আশায় পথ চেয়ে আছে পরিবার। ‘
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাকোয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘রেখা বেগম ও তাঁর নাতি মো. জুনায়েদ শিকদারের নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা নেই। ‘
এর আগে, ২৩ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনরুম থেকে আগুন লেগে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে প্রায় ২০০ শতাধিক যাত্রী এবং এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।
Leave a Reply