ব্যাপক ভোট ডাকাতি এবং কারচুপির বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০১৮ বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন এবং গতকাল ভোট কারচুপি হাতেনাতে ধরে ফেলার পর মেয়র প্রার্থী ডা: মনীষা চক্রবর্ত্তীর উপর হামলাকারী আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর অশি^নীকুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদের সদস্য সচিব ডা: মনীষা চক্রবর্ত্তী, জেলা সদস্য এবং সদ্য নির্বাচনের সংরক্ষিত-৩ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী জোহরা রেখা, জেলা সদস্য এইচ এম ইমন, শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, বাবুল তালুকদার, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সন্তু মিত্র।
সমাবেশের সভাপত্বি করেন বাসদ বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, পরিচালনা করেন বদরুদ্দোজা সৈকত।ডা: মনীষা চক্রবর্ত্তী বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তীতে শুধু বরিশালেই না বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টমানের নির্বাচনের উদাহরণ তৈরি হয়েছে গতকালকের এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে। প্রত্যেকটা কেন্দ্রেই চলেছে ভোট ডাকাতির মহোৎসোব।
আগে থেকেই ব্যালটে সিল মেরে সরবরাহ করা, জোর করে নৌকা প্রতীকে সিল দেয়ানো, অন্য প্রতীকে সিল দিলে ব্যালট ছিড়ে ফেলা এমনকি মারধোরের ঘটনাও ঘটেছে।
আমাদের শতাধিক পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, মারধোরের ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি আমার নিজের স্কুলে সিল মারা ব্যালট হাতেনাতে ধরে ফেলায় আমার উপরে নৌকার পোলিং এজেন্টসহ নৌকার ব্যাচ পড়া ৭/৮ জন আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে শারীরিকভাবে আহত করেছে। একজন মেয়র প্রার্থীকে এভাবে কেন্দ্রের মধ্যে লাঞ্চিত করার ঘটনাটিও বিরল। আমরা লিখিতভাবে রিটার্নিং অফিসারকে অভিযোগ দায়ের করার পরও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই এই প্রহসনের নির্বাচন অবিলম্বে বাতিল করে পুন:রায় নির্বাচন দেয়া উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে ইমরান হাবিব রুমন বলেন, এভাবে ভোট কারচুপির মাধ্যমে যারা মেয়র হবেন তারা হবেন লুটপাট আর দুর্নীতিবাজদের মেয়র আর জনগণের ভালবাসা পেয়ে জোরপূর্বক পরাজিত করলেও ডা: মনীষা চক্রবর্ত্তীই আগামী দিনের অসহায়-খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের সত্যিকারের মেয়র।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
Leave a Reply