রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ‘আমার মাকে অনেক মেরে মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে বাবা’ এমনটাই দাবি করে থানায় সাক্ষী দিয়েছে পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকাদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মীর।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ.মো. মাসুদুজ্জামান মিলু। পিরোজপুর সদর উপজেলার সিকাদার মল্লিক ইউনিয়নের জুজখোলা গ্রামে মাহফুজা বেগম নামে এক গৃহিণীকে মারধর করে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা চালায় স্বামী মিলন মীর। আর এ মামলায় এমনটাই অভিযোগ করে সাক্ষী দিয়েছে নিজের ছেলে।
পারিবারিক ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে পারিবারিক কোন্দলের জের ধরে গৃহিনী মাহফুজা বেগমকে অমানুষিক ভাবে মারধর করে স্বামী। এসময় তাকে জোর করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের। মাহফুজা বেগমের ডাক চিৎকারে তার ছেলে মেহেদী হাসান ও অন্যান্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে।পরে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে মাহফুজা বেগমের মেঝো ভাই মো. হারুন সেখ বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ছেলে মীর বলেন, “প্রায় প্রতি রাতেই এমন ঘটনা ঘটতো। মাকে বাবা নিয়মিত মারধর করতো। মা কাউকে কিছু বলতো না, সবকিছু নিরবে সহ্য করতো। শুক্রবার রাতে এতো পরিমাণে মারে যে মা অজ্ঞান হয়ে যায়। মা পানি চাইলে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় বাবা। এতে পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে যায় মা। মাকে বাঁচাতে চাই।”
মাহফুজার ভাই মো. হারুন শেখ জানান, “মাহফুজাকে নিয়মিত মারধর করতো তার স্বামী মিলন মীর। মিলনের অনেক চাহিদা ছিলো আমরা পূরণে অক্ষম। অনেকবার সালিশ করা হয়েছে থানায় গিয়ে বন্ডে সাক্ষর করে আমার বোনকে নিয়ে এসেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে পুরোপুরি মেরে ফেলতে চায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।”
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ.মো. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ও দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি অচিরেই আসামীকে গ্রেফতার করা যাবে।
Leave a Reply