শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর থানার সেরাজপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পুলিশ কাওসার ঘরামী (২২) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
বাবলাতলা বাজার থেকে কাওসারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। কাওসার সেরাজপুর গ্রামের সামসু ঘরামীর ছেলে। মহিপুর থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, কাওসার এলাকায় বখাটে হিসেবে চিহ্নিত। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত নিহত ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করলে অচেতন হয়ে পড়ে। গোপনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
শঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়। বর্বর ও নৃশংস হত্যাকান্ডের এ ঘটনার পরে এলাকার লোকজন আতঙ্ক আর উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
এ ঘটনার পর থেকে নিহত ছাত্রীর সৎ মা সালমা বেগমকে পুলিশ প্রায় ২৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন কূল-কিনারা করতে পারেনি। বুধবার নিহত ছাত্রীর বাবা ইসমাইল ঘরামী অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে।
বুধবার সন্ধ্যার পরে তাকে দাফন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জড়িত কাউকে গ্রেফতারে সক্ষম না হওয়ায় মহিপুর পুলিশের প্রতি মানুষ আস্থাহীন হয়ে পড়েছেন। কারণ ইতোপুর্বে কুয়াকাটায় একাধিক চুরির ঘটনায় মানুষের মুখে বিভিন্ন কথা প্রচার পাচ্ছে।
নিহত শিশুটি মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেরাজপুর গ্রামের আবুল কালাম জানান, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারনা করছি। প্রতিরাতে তারা চুরি-ডাকাতি আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন। হতভাগী শিশুর ফুফু পারভীন আক্তার জানান, দুর্বৃত্তরা যখন ঘরে ঢুকে তখন সালমা বেগম ঘুমানো ছিল। ছোট বাচ্চাটিও ঘুমানো ছিলো। দুর্বৃত্তরা বাচ্চা দুইটির মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়।
ততক্ষণে সালমা বেগম কিছুই টের পায়নি। যখন তাকে ধর্ষণ করতে আসে তখন সে চিৎকার দিয়ে দৌড়ে পাশের বাড়ি চলে যায়। কিন্তু পাশের বাড়িতেও কোন পুরুষ লোকজন ছিল না। ততক্ষণে মসজিদের নামাজ শেষ হলে মুসল্লিরা ডাকাত ডাকাত চিৎকার করেন। পরে এলাকার লোকজন বাড়িতে গিয়ে ইভাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
Leave a Reply