শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা কয়েক স্তরে জরিপ করে থাকেন। সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে নির্বাচনী পরিবেশ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং প্রার্থীদের জনমত প্রাধান্য পায়। একই সাথে সম্ভাব্য জনপ্রতিনিধি কে হবেন সে বিষয়েও ধারণা করে থাকে সংস্থাগুলো। এ বছর ওয়ার্ড পর্যায়ে জনমত জরিপ করেছে সোস্যাল এ্যাডভোকেসী ডেভলপমেন্ট (এসএডি) নামে একটি সংস্থা।
ওই সংস্থার জরিপে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মডেল ওয়ার্ড খ্যাত ২০ নং ওয়ার্ডকে। যেহেতু এই ওয়ার্ডের সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে সেকারনে এই ওয়ার্ডটিকে বেছে নেয় এসএডি। একইসাথে এই ওয়ার্ডে ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীই ক্ষমতাশীন দলের হওয়ায় বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। এসএডি’র জরিপে আবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত হবেন এস.এম জাকির হোসেন বলে সম্ভাবনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। সংস্থাটির জরিপের বরাদ দিয়ে জানিয়েছে, শতকরা ৩৯% ভোট পাবেন ঘুড়ি প্রতীকের প্রার্থী এস.এম জাকির হোসেন। এর পরপরই জনপ্রিয় অবস্থান ধরে রেখেছেন ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী জিয়াউর রহমান বিপ্লব।
তিনি শতকরা ২৬% ভোট পেতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। জনপ্রিয়তায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রেডিও প্রতীকের প্রার্থী সাইদুর রহমান। ভোটারদের মতামতের ভিত্তিতে শতকরা ১২% ভোট পাবেন বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে। জরিপ রিপোর্টটিতে ২৩% ভোটার কোন মতামত ব্যক্ত করেননি। তবে যারা মতামত ব্যক্ত করেননি এর মধ্যে থেকেও প্রায় ১৫% ভোটার অনুপস্থিত থাকার সম্ভাবনা প্রকাশ করেছে। বাকি ৮% থেকেও যে ভোট আসবে তাতেও জাকির হোসেন বেশি পেতে পারেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০ নং ওয়ার্ডে ৩ জন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের সমর্থক। এরমধ্যে এসএম জাকির হোসেন মহানগর আ.লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক।
জিয়াউর রহমান এবং সাইদুর রহমান নেতৃত্বস্থানীয় কোন পদে না থাকলেও তারা দলের সমর্থক। এই টারপোড়েনে বরিশাল আ.লীগ দলীয়ভাবে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। এ ওয়ার্ডটি রয়েছে উন্মুক্ত। যিনি বিজয়ী হবেন তিনিই দলীয়ভাবে স্বীকৃতি পাবেন। ২০ নং ওয়ার্ডটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ২৬০টি। কেন্দ্র রয়েছে ৩টি। এ ওয়ার্ডে ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থীই তুমুল প্রচারে নেমেছেন। এখানে বর্তমান কাউন্সিলর এস.এম জাকির হোসেন থাকায় তার কাজের মূল্যায়নে তিনি একটু অন্য প্রার্থীর চেয়ে কর্মকান্ডেও এগিয়ে রয়েছেন। এলাকাটিতে ভোটারদের মধ্যে শিক্ষিত ভোটারের সংখ্যা বেশী।
Leave a Reply