শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ের জন্য ত্যাগেই কুরবানি ঈদের মহিমা। কুরবানির পশুর মাংস তিন ভাগের বিধান রয়েছে, এর মধ্যে এক ভাগের হক গরিব আর দুস্থদের। অথচ এসব মানুষের অভিযোগ, তারা অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন নিজেদের হক থেকে।
বুধবার (২২ আগস্ট) ঈদের দিন পেরিয়ে তখন মধ্যরাত। রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফুটপাতে বসে চলছে মনোয়ারা বেগমের মাংস রান্না। জামালপুরের শেরপুর থেকে স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে এসেছেন কুরবানির মাংস সংগ্রহে। কারণ বছরের অন্য সময়তো দূরের কথা ঈদেও জোটে না আমিষের এই স্বাদ।
তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষ কই থেকে মাংস কিনে খাব? কুরবানি যারা দেয় তাদের কাছ থেকে চেয়ে এনে বাচ্চাদের খাওয়াই।’
এই যখন অবস্থা তখন প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির গল্পটা আরও করুণ।
এক দুস্থ শিশু বলে, ‘এক বাড়িতে এক ঘণ্টা করে দাঁড়ায় থাকতে হয়, তারপর টুকরো টুকরো মাংস দেয়। তাও দিতে চায় না।’
ঢাকার বুকের প্রতিটি গলির পরতে পরতে যেখানে লুকিয়ে থাকে নানা গদ্য, সেখানে এমন অভিমানের সুর শুধু এক পরিবারেরই নয়, আছে আরো অনেকেরই।
আরেকজন বলেন, ‘দেয় না, বাবা আমাদের মাংস দেয় না। বাচ্চাদের বলে যাও, যাও। বাবা ডাকি, মা ডাকি তবুও একটু মাংস দেয় না।’
এক দুস্থ নারী বলেন, ‘বড় লোকরা কুরবানী দেয়, আমাদের দেয় না তো। ওনাদের ফ্রিজ ভরার জন্য দিতেছে, নতুন নতুন ফ্রিজ কিনতেছে, কুরবানী করতাছে আর ফ্রিজে ভরতাছে। আমরা কইবার গেলে লাত্থি মারে খেদায় দেয়, বলে যাও, যাও। কুত্তার মতো ব্যবহার করে।’
আরও একজন বলেন, ‘ভালো ভালো মাংস রেখে হাড়গোড়, তেল আমাদের দেয় আর কী। সিঁড়িতে দেখে কেউ কেউ আমাদের কয়, এই নামো নামো, তোমার কে অাসতে বলছে, গেট খুলে দিলো কেডা।’
ত্যাগের মহিমার যথার্থতা অনুযায়ী কোরবানি পশুর মাংসে দুস্থদের হকের সমবণ্টনের দাবি জানিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিতরা।https://www.youtube.com/watch?v=XpvZTqmd1zU
Leave a Reply