সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন , বাউফল প্রতিনিধি॥ নানা নাটকীয়তা শেষে প্রেমিক রমজানকে কাছে পেলেন নাজনীন আক্তার নছিমন। স্বপ্ন ছিল তার সঙ্গেই আমৃত্যু কাটিয়ে দেবেন। ভাগাভাগি করে নেবেন সুখ-দুঃখ। কিন্তু নাজনীনের সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল। নব এ দম্পতির বাধা হয়ে দাঁড়ালো বয়স। তাই বিয়ের পর তাদের আলাদা করে দিয়েছে পুলিশ। পরিণত বয়স না হওয়া পর্যন্ত আলাদাই থাকতে হবে রমজান-নাজনীনকে।
সোমবার বিকেলে নাজনীনকে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। এর আগে শনিবার রাতে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের সেই সমালোচিত চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দেন কিশোরী নাজনীন। পরে তাকে রমজানের মামাতো ভাই পলাশের জিম্মায় দেওয়া হয়।
এরপর সোমবার বিকেলে পলাশের বাড়ি থেকে নাজনীনকে চুনারপুলে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দেয় পুলিশ। এর মধ্যে দুদিন রমজান ও নাজনীন একই ছাদের নিচে ছিলেন। রোববার সকালে ধর্মীয় রীতি মেনে তাদের বিয়ে হয়।
এদিকে, নাজনীন চলে যাওয়ার পর বাবা-মা হারা এতিম রমজানের বুকফাটা আর্তনাদ শুনে যে কারো চোখে পানি চলে আসে। নাজনীনের সঙ্গে শুক্রবার চেয়ারম্যান শাহিনের বিয়ে হওয়ার পর রমজান আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। ভাগ্যক্রমে রমজান সেদিন বেঁচে গেলেন। কিন্তু আগামী দিনগুলো নিয়ে শঙ্কিত তার বড় ভাই হাফেজ ইমরান।
ইমরান জানান, নাজনীন তার বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন রমজান। সারাদিন আর্তনাদ করছেন। সোমবার রাত নির্ঘুম কাটিয়েছেন। নিজের হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গা ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করছেন। এদিকে নাজনীনের অবস্থা জানতে বাবা নজরুল ইসলামের কাছে কল দিলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নাজনীনের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, রমজানকে ছেড়ে চলে আসার পর নাজনীনও ভালো নেই। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। একদিকে বাবা-মা হারা এতিম রমজান, অপরদিকে সৎ মায়ের ঘরে নাজনীন। কী লেখা আছে এ কিশোর-কিশোরীর কপালে? এ নিয়ে এলাকাবাসীও চিন্তিত।
Leave a Reply