বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের কলতা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলাধীন কলতা মৌজার এস.এ ৯৯নং খতিয়ান ও একই উপজেলার ঝিলনা মৌজার এস.এ ৯৬নং খতিয়ানে রেকর্ড সূত্রে মালিক চাঁনভানু বিবি এবং ্একই উপজেলার কালতা মৌজার এস.এ ১১০/১৯১/১৩৩ নং খতিয়ানে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ও নিজ রেকর্ড সূত্রে মালিক জেন্নাত আলী খাঁন। চাঁনভানুর মালিকানাধীন ভুমি জেন্নাত আলীর বসত বাড়ীর সন্নিকটে এবং জেন্নাত আলীর মালিকানাধীন ভ’মি চাঁনভানুর বসত বাড়ী সংলগ্ন হওয়ায় উভয়ের ভোগ দখলের সুবিধার্থে পারস্পারিক সম্মতিতে ০৪/০২/১৯৯৩ তারিখে চাঁন ভানু ১ম পক্ষ ও জেন্নাত আলী ২য় পক্ষ হয়ে বাউফল সাব-রেজিন্ট্রী অফিসে এওয়াজ বদল/ বিনিময়পত্র রেজিষ্ট্রী করেন। উভয় পক্ষ এবং তাদের ওয়ারিশগণ এওয়াজ বদলকৃত জমি ভোগ দখল করে।
চান ভানুর পূত্র মৃত. মো. শামসুদ্দীন সিকদার, মৃত. মো. মাহতাব উদ্দীন সিকদার ও দুই কণ্যা মাহমুদা ও কহিনুর বেগমের ওয়ারিশগণ উক্ত জমির উন্নয়ন ঘটিয়ে ভোগদখল করেন।
২০০৫ সালে জেন্নাত আলী খাঁনের ওয়ারিশগণ এওয়াজ বদল মিথ্যা দাবী করে পটুয়াখালী আদালতে মামলা করে। মামলা নং ৯৮/২০০৫। কোন রকম নোটিশ জারী ব্যাতিত গোপনে ২০০৬ সালের ২০ জুলাই একতরফা রায় ও একই বছরের ২৬জুলাই ডিগ্রী আনে এবং যা গোপন রাখে। সম্প্রীত সেই রায় জানাজানি হলে আদালতে চান ভানুর ওয়ারিশগণ আপিল করেন। এতে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার-কে কমিশনার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
আদালতের আদেশ অমান্য করে ক্ষমতার প্রভাব ঘাটিয়ে জেন্নাত আলীর ওয়ারিশ মজিবুর রহমান খান, খসরু খান, মালেক খানগন গাছ কেটে রাতের অধারে জমি দখল করে ঘর নির্মান করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খসরু খান বলেন, ওই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আমরা কোর্ট থেকে রায় পেয়েছি, এজন্য ঘর তুলেছি। বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, আদালত থেকে ঘটনাটি তদন্ত কওে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কমিশন গঠন করে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply