সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
এইচ, এম হেলাল॥ সুতো ছিঁড়ে তুমি গোটালে নাটাই,আমি তো কাঙাল ঘুড়ি,বৈরী বাতাসে কী আশ্চর্য, বরিশাল নগরীতে বিকেল হলেই রং-বেরঙের ঘুড়ি উড়তে দেখা যাচ্ছে আকাশে।
কেউ ঘুড়ি উড়াচ্ছেন বাড়ির ছাদে। কেউ বা আবার খোলা মাঠে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে একরকম বন্দি জীবন কাটাচ্ছে বরিশালবাসী। ফলে শিশু-কিশোররা পড়েছে চরম বিপাকে।
অপরদিকে স্কুল-কলেজ বন্ধ, অন্যদিকে খেলাধুলারও উপায় নেই। সারাদিন টিভি, কম্পিউটার, ফেসবুক চালিয়ে যেন হাপিয়ে উঠেছে তারা। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে এখন বাড়ির ছাদে ও খোলা জায়গায় ঘুড়ি উড়িয়ে আনন্দ লাভের চেষ্টা করছেন।
নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার ঘুড়ি প্রেমিক সিফাত বলেন, নগরীতে ডাবলবল,উড়োজাহাজ,নাকবল, গিটার,চৌরঙ্গী, ইত্যাদি নামের ঘুড়ি আছে । তবে ঘুড়ির চেয়েও বেশি দৃষ্টি কাড়ে এর লেজ। ঘুড়ি অনেক আকৃতির ও রং-বেরঙের হয়ে থাকে। এর সঙ্গে ঘুড়ি উড়ানোর নাটাইয়ের নামও বেশ আকর্ষণীয়। যেমন- বাটার নাটাই, বাশেঁর নাটাই, ইত্যাদি।
জিসান নামের একজন ঘুড়িপ্রেমী ভয়েস অব বরিশালকে জানান, দীর্ঘদিন ঘরের মধ্যে থেকে আর ভালো লাগছে না। তাই এলাকার বড়ভাইদের সাথে প্রতিদিন বিকেলে খেলার মাঠে ঘুড়ি উড়াই।
এদিকে সিফাত আরো বলেন, লকডাউনের কারণে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তাই কাগজ ও পলিথিন কেটে ঘুড়ি তৈরি করাও শেখাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া কাঁথা সেলাইয়ের সুতা দিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন তিনি। এতে বাচ্চারা খুব মজা পাচ্ছে।
একই এলাকায় ঘুড়ি উড়াতে আসা সোয়েব নামের এক ছাত্র বলেন, ‘ঘরে বসে বসে টিভি-সিনেমা দেখতে এখন আর ভালো লাগে না। তাই মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলেই ঘুড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ ধরনের কর্মকান্ড মানুষের মনে চিত্ত-বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
Leave a Reply